একুশে জুলাইয়ে শহিদ সমাবেশের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়নি তাঁদের। কিন্তু আজ নয়াদিল্লিতে পা রেখেই বাংলার রেল প্রকল্পের দাবিতে সোচ্চার হলেন তাঁরা। সংসদে আজ, সোমবার প্রথম বক্তব্য রাখতে গিয়ে কবি সুভাষ–বারুইপুর মেট্রোর কাজ গত ১৩ বছরে একদম না এগোনোয় সরব হন তিনি। হ্যাঁ, তিনি যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সায়নী ঘোষ। তাঁর পাশাপাশি আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ প্রশ্ন করেন, আরামবাগ–বিষ্ণুপুর রেলপথ সম্প্রসারণ থমকে থাকা নিয়ে। সায়নী এবং মিতালি দু’জনেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম জিতেছেন। দু’জনেই নিজেদের সংসদীয় কেন্দ্রের সমস্যা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন। যার মূল বিষয় মেট্রো ও রেল।
আজ, সোমবার লোকসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। আগামীকাল বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাই মঙ্গলবার দেশের মানুষ সেদিকে তাকিয়ে থাকবেন। কী পেলেন আর কী পেলেন না তার হিসাব করবেন সকলে। তার প্রাক্কালে আজ লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল। সেখানেই সায়নী ঘোষ বলেন, ‘২০১১–১২ অর্থবর্ষের রেল বাজেটে কবি সুভাষ থেকে বারুইপুর পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণ অনুমোদিত হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। ২০১৭ সালের মধ্যে আদিগঙ্গার উপরে মেট্রো ট্র্যাক নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে বলে প্রস্তাব ছিল। তাও হয়নি।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই মেট্রো সম্প্রসারণে একগুচ্ছ পরিকল্পনা বাজেটে করেছিলেন।
আরও পড়ুন: কলকাতা–ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস বাতিল ঘোষণা করল রেল, ভাড়ার অর্থ সম্পূর্ণ ফেরত কোন শর্তে?
এখন বাংলায় মেট্রো এবং রেলের যেসব কাজ দেখা যাচ্ছে এবং নতুন করে হচ্ছে সেগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময়ই করা হয়েছিল। এখন শুধু ফিতে কাটা হচ্ছে। এমন দাবি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজেও করেছেন বারবার। যাদবপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিযোগ করেন, রেল বোর্ড প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেয়নি। কলকাতা থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে থাকা বারুইপুর এখন বৃহত্তর কলকাতার অংশ। আর এখানে লোকসংখ্যা বেড়ে চলেছে। লোকাল ট্রেনেই বিপুল পরিমাণ মানুষকে কলকাতায় আসতে হয়। তাই মেট্রো সম্প্রসারণ হলে মানুষের উপকার হবে। সেটাই এবার তুলে ধরলেন সায়নী ঘোষ।
রেলের কাজ নিয়ে সংসদে সুর চড়ান আরামবাগের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মিতালি বাগ। তাঁর বক্তব্য, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আরামবাগ–বিষ্ণুপুর রেল সম্প্রসারণের বিষয়ে বরাদ্দ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই কাজ গত ১৩ বছরে কিছুই হয়নি।’ আরামবাগের পর গোঘাট পর্যন্ত ট্রেন চললেও সেখানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। জমি সংক্রান্ত জট রয়েছে। গোঘাটের ভবাদিঘি এখন চর্চিত বিষয়। মিতালির দাবি, দ্রুত জমি জট কাটিয়ে রেলপথ সম্প্রসারণ করা হোক। সংসদে এদিন ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিও তুলেছেন মিতালি। দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রকে পদক্ষেপ করতে বলেছেন আরামবাগের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।