শেষ হাসিনার সরকারের পতন ঘটেছে বাংলাদেশে। এরপর থেকেই এই নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এপার বাংলাতেও। পদত্যাগ করার পর গতকলই ভারতে চলে এসেছেন হাসিনা। এদিকে বাংলাদেশ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ শেখ হাসিনাকে নিয়ে সর্বদল বৈঠকের ডাক দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেই বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন লোকসভায় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে নাকি তিনি কেন্দ্র-রাজ্য মিলে কাজ করার কথা বলেন। (আরও পড়ুন: বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব আওয়ামি নেতার পাঁচতারা হোটেলে, পুড়ে মরল বিদেশি সহ ২১)
আরও পড়ুন: দিল্লিতে সেফহাউজে সুরক্ষিত আছেন হাসিনা, সর্বদল বৈঠকে জানালেন জয়শংকর
রিপোর্ট অনুযায়ী, সর্বদল বৈঠকে সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানান তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বৈঠক শেষে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যা বলেন, 'গতকাল আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলব এই ইস্যুতে। এই বিষয়ে বিরোধের কোনও প্রশ্ন নেই। শুধু একটাই বিষয়, যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়, তা নিয়ে যেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অবগত করা হয়। এই নিয়ে একসঙ্গে কাজ করব আমরা।' এর আগে গতকাল বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মমতা বলেছিলেন, 'বাংলার মানুষকে আমি শান্তি ও সংযম প্রদর্শনের অনুরোধ করব। কেউ কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। এটা দ্বিপাক্ষিক ব্যাপার। কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তাদের নির্দেশ মতো কাজ করব।' (আরও পড়ুন: গণভবন থেকে চুরি 'হাসিনার অন্তর্বাস', সংসদ থেকে নগদ টাকা চুরি 'আন্দোলনকারীদের')
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি সেনাপ্রধানকে নিয়ে হাসিনাকে আগেই সতর্ক করেছিল ভারত, কে এই ওয়াকার?
এদিকে বাংলাদেশে হাসিনার সরকারের পতনের পর শুভেন্দু দাবি করেন, এবার ১ কোটি শরণার্থী হিন্দু ওই দেশ থেকে এপারে চলে আসবেন। গতকাল এই নিয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, 'তৈরি থাকুন। ১ কোটি শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আসবে। বাংলাদেশে হিন্দু কোতল চলছে। রংপুরের কাউন্সিলর হারাধন নায়েক তাঁকে খুন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জে ১৩ জন পুলিশকর্মী থানার মধ্যে খুন হয়েছেন। তার মধ্যে ৯ জন হিন্দু। নোয়াখালিতে হিন্দু বাড়ি পোড়ানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপালকে বলব, অবিলম্বে ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলুন। কারণ সিএএ-তে উল্লেখ রয়েছে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে যদি কাউকে আসতে হয় আমাদের দেশ নেবে। এই পরিস্থিতি যদি ৩ দিনের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে জামাতের মৌলবাদীদের হাতে বাংলাদেশ যাচ্ছে। ১ কোটির বেশি হিন্দু শরণার্থীকে নোওয়ার জন্য সবাই মানসিক প্রস্তুতি নেন। আমি তো প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছি। আমি পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের অনুরোধ করব, যার যেখানে জায়গা জমি রয়েছে আমাদের হিন্দু ভাইদের শরণার্থী হিসাবে সেখানে রাখার জন্য।'