গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যখন কলকাতায় পা রাখছেন তখন অপর প্রান্ত ত্রিপুরায় দলীয় কার্যালয় খোলে তৃণমূল কংগ্রেস। এই রাজনৈতিক কোলাজ বলে দিচ্ছে একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্যে শক্তি বাড়াতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। এখানের ধলাই জেলার আমবাসায় দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করল তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে কর্মীরা যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আশিসলাল সিং, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে সদ্য যোগ দেওয়া বাপটু চক্রবর্তী, বাংলার যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শক্তি প্রতাপ সিং।
ত্রিপুরায় এখন ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে সভা, সমাবেশ, মিছিল করা যাবে না। তাই সেখানে শুধু কার্যালয়টি খোলা হল। এবার এখান থেকেই কাজ শুরু হবে। পুজোর পর এখানে আসবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে খবর। এই আমবাসায় গত৭ অগস্ট বাধার মুখে পরে জয়া দত্ত, দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা। মাথায় আঘাত লাগে সুদীপের। জখম হয়েছিলেন জয়া দত্ত নিজেও।
তারপর ঘটেছে নানা আক্রমণের ঘটনা। আর সেই আমবাসায় কার্যালয় উদ্বোধন করে কার্যত শক্তি বৃদ্ধির বার্তা দেওয়া হল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, যেদিন ১৪৪ ধারা উঠবে তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেখানে পৌঁছবো। এভাবে আমাদের আটকানো যাবে না। তারপর এই দলীয় কার্যালয় খোলা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। আগরতলাতে প্রধান কার্যালয় খুলতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমবাসায় কেন খোলা হল দলীয় কার্যালয়? সূত্রের খবর, এখানে যেহেতু আক্রান্ত হতে হয়েছিল তাই সেটাকে স্মরণে রেখে দলীয় কার্যালয় খোলা হল। আবার গ্রামাঞ্চলের ভোটব্যাঙ্ক বৃদ্ধি করা এখান থেকে সুবিধা হবে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আশিসলাল সিং জানান, জেলাগুলি থেকে প্রচুর মানুষ যোগাযোগ করছেন। এই মানু্ষগুলি আমাদের ভবিষ্যৎ। আমাদের সংগঠন শক্তিশালী হবে এদের জন্যেই।