আরজি কর আবহে ইতিমধ্যেই চাপে রয়েছে বাংলার শাসকদল। সেই আবহে রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বিদ্রোহী হয়েছেন। এরই মাঝে এবার নিজের সাংসদ পদ ছাড়লেন জহর সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে পদত্যাগের কথা জানান জহর সরকার। সেই চিঠিতে তিনি আরজি কর থেকে শুরু করে দুর্নীতির ইস্যুর উল্লেখ করেছেন জহর সরকার। মমতাকে লেখা চিঠিতে জহর লেখেন, 'আরজি কর হাসপাতালের নৃশংস ঘটনার আবহে গত এক মাস ধরে ধৈর্য ধরে ছিলাম। অনেকের প্রতিক্রিয়া শুনেছি। তখন ভেবেছি, আপনি কেন সেই পুরনো মমতা ব্যানার্জির মতো ঝাঁপিয়ে পড়েননি। কেন চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেননি।' (আরও পড়ুন: গবেষণা নিয়ে হেরফের, আর তার জেরেই কি খুন আরজি করে? CBI তদন্ত কোন পথে?)
আরও পড়ুন: নতুন করে হিংসা মণিপুরে, মৃত ৬, রাজ্যপাল-বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বীরেন
আরও পড়ুন: SOP মেনে তদন্ত করেনি পুলিশ, লোপাট হয়ে থাকতে পারে প্রমাণ: নির্ভয়া মামলার অফিসার
এদিকে আরজি কর আন্দোলন নিয়ে জহর সরকার চিঠিতে লেখেন, 'আমি বিশ্বাস করি, এই আন্দোলনে যে মানুষজন পথে নেমেছেন, তাঁরা অরাজনৈতিক। এই আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত। এই আবহে রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে এই আন্দোলনকে প্রতিহত করা ঠিক নয়। তবে আন্দোলনকারীরা শুধুমাত্র বিচারের দাবি তুলেছেন।' এদিকে রাজনীতি ছাড়ারও ঘোষণা করেছেন জহর। উল্লেখ্য, এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আন্দোলনে রাম-বাম জোটের ইন্ধন আছে বলে ইঙ্গিত করেছিলেন। পরে তৃণমূলের অন্যান্য নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরাও একই সুরে আক্রমণ শানান বিরোধী এবং আন্দোলনকারীদের। এই আবহে জহর সরকার আরও লেখেন, 'কিছু আমলা ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশিশক্তির আস্ফালনের কারণেই এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের এই রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।' (আরও পড়ুন: রিমঝিমদের পরামর্শদাতাদের তালিকা নিয়ে বিতর্ক, আলোচনায় আন্দোলনকারীরা)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণেশ পুজোয় ভাঙচুর, তারই মাঝে সিদ্ধিদাতার আরাধনায় লিটন দাস
এদিকে তৃণমূল জমানায় দুর্নীতি নিয়ে জহর চিঠিতে লেখেন, 'বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদীর সরকারের স্বৈরাচারী ও সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়তেই সাংসদ হয়েছিলাম। তবে ২০২২ সালে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে সব দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, তাতে বিচলিত হই। সেই সময়ও দলকে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু তখন দলের অনেক নেতা আমাকে হেনস্থা করেছিল।' (আরও পড়ুন: আরজি কর আন্দোলনে নয়া মোড়, সুপ্রিম শুনানির আগে আজ বসবে 'রাজপথে আদালত')
আরও পড়ুন: 'কথা দিয়েও রাখলেন না' রাজ্যপাল, ক্ষুব্ধ হলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসক-নার্সরা
এদিকে জহর সরকার পদত্যাগের পরই তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সুখেন্দুশখরকে ইঙ্গিত করে লেখেন, 'একজন ছেড়েছেন, আরেকজনও ছাড়ুন। স্রোতের অনুকূলে তো কচুরিপানাও ভাসে, যদি উল্টো দিকে সাঁতার কাটতে নাই পারলেন তাহলে মানুষ জন্ম বৃথা! যুদ্ধের সময় যারা পালায় কিংবা গা বাঁচিয়ে চলে, ইতিহাস তাদের লজ্জার নজরে দেখে।' প্রসঙ্গত, এর আগে