ত্রিপুরা জুড়ে স্লোগান উঠেছে, ‘ত্রিপুরা কইতাসে, মমতাদি আইতাসে’। তারপর থেকে জমি দখল করতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে বিজেপির সঙ্গে সংঘাত লেগেই রয়েছে। হামলা, হোটেল বন্দি, মামলা, গ্রেফতার সবই হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক অরুণ ভৌমিকের। তালিবানি কায়দায় হামলার নিদান দেওয়ার পালটা গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। টুইটে করে তীব্র বিরোধিতা করেছেন কুণাল ঘোষ।
ত্রিপুরার বিলোনিয়ায় দলীয় সভায় বিজেপি বিধায়ক অরুণ ভৌমিক বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিতে বিপ্লব দেবের সরকারের উপর আঘাতের চেষ্টা চলছে। আমি আপনাদের কাছে আবেদন করব তালিবানি কায়দায় এদের আক্রমণ করতে হবে। বিমানবন্দরে নামামাত্রই আক্রমণ করতে হবে এঁদের। প্রতিটি রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা বিপ্লব দেবের সরকারকে রক্ষা করব। যাতে এখানে এঁরা ঘাঁটি গাড়তে না পারে।’ এই মন্তব্য নিয়ে রাজনীতির ময়দানে হইচই পড়ে যায়।
এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। টুইটে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে সরব হন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি লেখেন, ‘বিজেপি বিধায়ক অরুণ ভৌমিক বলেন, ‘তৃণমূল নেতারা এয়ারপোর্টে নামলেই তালিবানি কায়দায় আক্রমণ করতে হবে।’ ত্রিপুরা পুলিশ, সুয়ো মোটো মামলা হবে না? তালিবানি কায়দা! বিজেপির মানানসই ভাষা।’
উল্লেখ্য, হোটেলে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সায়নী ঘোষ–সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মী। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীদের হোটেল ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, হোটেলে রীতিমতো ফতোয়া জারি করা হচ্ছে। চাওয়ার পরেও দেওয়া হচ্ছে না খাবার। এমনকী মহিলাদের দীর্ঘক্ষণ পাঁচতারা হোটেলে লোডশেডিং করে রাখা হয়েছিল। যা নিয়ে গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হন সায়নী ঘোষ।