ত্রিপুরায় পুরনির্বাচনে লড়াইয়ের কথা আগেই জানিয়েছিল তৃণমূল। সেই মতো পুরনির্বাচনে নেমে আগরতলা পুরনিগমে সবকটি আসনে প্রার্থী দিল তৃণমূল। নভেম্বরের শেষে পুরনিগম নির্বাচন। তার আগে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে নির্বাচনী ময়দানে ঝাঁপাল ঘাসফুল শিবির।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আগরতলা পুরনিগমে মোট ৫১টি আসন আছে। এই ৫১টি আসনের সবকটিতেই এবারে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। ঘোষিত ৫১ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৫ জন মহিলা প্রার্থী। পুরনির্বাচনে মহিলা ভোটারের উপরই ভরসা রাখতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। আর সেই কথা মাথায় রেখেই নির্বাচনী ময়দানে নেমেছেন সুস্মিতা দেব–সুবল ভৌমিকরা।
বেশ কয়েকমাস ধরেই আগরতলা পুরনির্বাচনে নামার প্রস্তুতি চালাচ্ছিল তৃণমূল। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি ছিল, আগে থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলে সেখানকার শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রার্থীদের ভয় দেখাতে পারে। তাঁরা যাতে মনোনয়ন না জমা দিতে পারে, সেজন্য তাঁরা সবরকম চেষ্টা করত। তাই এতদিন তাঁরা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেননি। নির্বাচনের দিন আর বেশি বাকি নেই। তাই এবার পুরো প্রার্থী তালিকাই প্রকাশ করে দিল তৃণমূল। শুধু প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করাই নয়, প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াও শুরু করে দিয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবারে ত্রিপুরায় তৃণমূল মহিলা ভোট ব্যাঙ্কের ওপরই ভরসা রাখতে তৃণমূল। বাংলায় মহিলা ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করেছে ঘাসফুল শিবির। এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ত্রিপুরায় তৃণমূল ক্ষমতায় এলে রাজ্যে যে সব প্রকল্প চালু হয়েছে, সেই সব প্রকল্প ত্রিপুরাতেও শুরু হয়ে যাবে। আসন্ন পুরনির্বাচনে ত্রিপুরার মানুষ তৃণমূলের ডাকে সাড়া দেয় কিনা, এখন সেটাই দেখার।