ত্রিপুরার আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সদর দফতরে হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় আক্রান্ত হন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই ঘটনার প্রতিবাদেই আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সেই সময়ই বিক্ষোভকারীদের একাংশ নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে ঘাসফুল শিবির। অভিযোগ, তাদের পার্টি অফিসে ছেঁড়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা এবং ফ্লেক্স। দাবি করা হচ্ছে, হামলাকারীদের পুলিশ বাধা দিলেও কোনও লাভ হয়নি।
এদিকে আগরতলায় পার্টি অফিসে হামলার খবর পেতেই আজ সেখানে যাচ্ছেন দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, কুণাল ঘোষ, বীরবাহা হাঁসদা, সুস্মিতা দেব, প্রতিমা মণ্ডল, সায়নী ঘোষ, সুদীপ রাহা যাচ্ছেন আগরতলায়। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এই হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল অভিযোগ করেছে, বিরোধীদের চুপ রাখতেই হিংসার সাহায্য নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের বার্তা, গণতন্ত্রের উপর এই আঘাত তারা কোনওভাবেই মেনে নেবে না।
সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় তৃণমূলের তরফ থেকে লেখা হয়েছে, 'সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরা কার্যালয়ে বিজেপি-সমর্থিত দুষ্কৃতীদের নৃশংস হামলা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত। ক্ষমতাসীনরা যখন তাঁদের বিরোধীদের স্তব্ধ করতে হিংসাকে হাতিয়ার করছে, তখন এর মাধ্যমে তারা শক্তি নয়, বরং নিজেদের ভয় প্রকাশ করছে। তারা যে নৈতিক ভাবে দেউলিয়া, সেটাই সামনে আসছে। বিজেপি মুখে বলে - গণতন্ত্র বাঁচাও; কিন্তু একের পর এক রাজ্যে তারা গণতন্ত্রের ভিত্তি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তাঁরা অফিস ভাঙতে পারে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলতে পারে, কর্মীদের ভয় দেখাতে পারে। কিন্তু তারা কখনও প্রতিরোধের চেতনা মুছে দিতে পারবে না। এই চেতনা প্রতিটি তৃণমূল কর্মীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে বইছে। আমরা চুপ করে থাকবে না। আমরা পিছিয়ে যাবে না। ত্রিপুরার মানুষ দেখছেন, গোটা ভারত দেখছে।'