বাদল অধিবেশনে সংসদে উত্তাল হয়ে ওঠে পেগাসাস ইস্যুতে। ঘরে–বাইরে চাপে পড়ে যায় নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বাধ্য হয়ে এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা। পাশাপাশি জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি–সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংসদের ভেতরে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরা। বিক্ষোভ হয়েছে সংসদের বাইরেও। বারবার বিরোধী বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়েছে সংসদ। দফায় দফায় মুলতুবি হয়েছে অধিবেশন। এইসব বিষয়ে আলোচনা না করলে চলতে দেওয়া হবে না সংসদ বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধী নেতা–নেত্রীরা। আর হই–হট্টগোলের মধ্যে সংসদে পাশ হয়ে গেল ১২টি বিল।
এই বিলগুলি পাশ হওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। রীতিমতো ট্যুইট করে সোমবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। তিনি লেখেন, ‘নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ প্রথম ১০ দিনে ঝড় তুলেছেন। ৭ মিনিটে একটি আইন, এই হিসাবে ১২টি আইন আনা হল। এটা কি আইন আনা হচ্ছে না কি পাপড়িচাট বানানো হচ্ছে।’ এর আগে তিনটি কৃষি আইন নিয়েও তোপ দেগেছিলেন তিনি। পাপড়িচাট সাধারণত গুজরাতের মানুষের বিশেষ পছন্দের খাবার। তাই সেটাকেই এবার সামনে তুলে আনা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পেগাসাস নিয়ে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার তদন্ত কমিশন জারি করেছে। ডেরেক ও’ব্রায়েন স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে আগে সংসদে পেগাসাস নিয়ে আলোচনা করতে হবে না হলে সংসদের অধিবেশন চলতে দেবে না তাঁর দল। পেগাসাস নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক। কিন্তু সেখানে এখনও কিছু জানানো হয়নি। উলটে বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের।
জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের এনএসও গ্রুপের মস্তিষ্কপ্রসূত এই স্পাইওয়্যার। সূত্রের খবর, ৪০টি দেশের সাতটি সরকার এই সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। সারাবিশ্বে অন্তত ৫০ হাজার ফোনে স্পাইওয়্যার ইনজেক্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ৩০০ ভারতীয়ও রয়েছেন। ২০১৬ সালেই উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। এবার তা আছড়ে পড়েছে সংসদে।