তৃণমূলে ফিরে ত্রিপুরায় সংগঠনের দায়িত্বে ফিরেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ত্রিপুরার মাটিতে দাঁড়িয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তিনি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, ত্রিপুরায় দলের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা হলে হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না তৃণমূল।
গত মঙ্গলবার আগরতলায় দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে প্রথমবার বৈঠক করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক-সহ আরও অনেক স্থানীয় নেতৃত্বরা। সেই বৈঠকে রাজীব জানিয়ে দেন, ‘বিজেপি যদি তৃণমূলের ওপর আক্রমণ করে, তাহলে আমরাও যে হাত গুটিয়ে বসে থাকব, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। তৃণমূল কিন্তু পাল্টা দিতে জানে। তবে আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। তাই আমাদের ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভাবলে ঠিক হবে না।’ একইসঙ্গে রাজীববাবু দলীয় কর্মী–সমর্থকদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘কেউ নিজেকে একলা ভাববেন না। দলে কারও ওপর হামলা হলে সর্বস্তরের কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন।’ সামনেই আগরতলা-সহ ত্রিপুরায় বিভিন্ন পুরসভায় ভোটগ্রহণ রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পুরভোটের আগে দলীয় কর্মী–সমর্থকদের উজ্জীবিত করতেই রাজীবের এই বার্তা।
এদিকে পুরভোটকে সামনে রেখে আগরতলা, সোনামুরা, আমবাসা, তেলিয়ামুরায় বাংলার ন'জন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই ৯ জনের মধ্যে ৫ জন বিধায়ক। এই পাঁচ বিধায়করা হলেন অরিজিৎ সিং, আমিরুল ইসলাম, খোকন দাস, নারায়ণ গোস্বামী ও অরিন্দম গুঁই। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন নেতাকে বাংলা থেকে পাঠানো হয়েছে। রাজীবের ওপর ত্রিপুরার দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।