লাগাতার আক্রমণের পর এবার অসহযোগিতার নজির দেখাল বিপ্লব দেবের সরকার। এবার ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে প্রশাসনের চরম দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠল। এমনকী মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই চরম অসহযোগিতা ও দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ। এই ঘটনার পর তিনি ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘ত্রিপুরার নামী হোটেলে ইচ্ছাকৃতভাবে আড়াই ঘণ্টার উপর পাওয়ার কাট করে মিটিং করতে দেওয়া হয়নি আমাদের। এমনকী হোটেলকর্মীরা আমাদের এসে কথা বলতেও বাধা দেয়। বলা হয় রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা করা যাবে না।’
ত্রিপুরায় প্রথম দিক থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজ দেখিয়েছে বিপ্লব দেবের প্রশাসন। আইপ্যাকের টিমকে আটকে রাখা থেকে শুরু করে অভিষেকের উপর আক্রমণ, যুব নেতাদের উপর আক্রমণ, তারপর গ্রেফতার এবং দোলা সেন–অপরূপা পোদ্দারদের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। এখানে ২১ জুলাই শহিদ সমাবেশ করতেও দেওয়া হয়নি। এবার সায়নী ঘোষদের উপর চরম অসহযোগিতা করা হলো।
এই বিষয়ে যুব নেত্রী সায়নী ঘোষের দাবি, কোনও আলোচনা তো দূরের ব্যাপার। একসঙ্গে কয়েকজন খেতে গেলেও বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা ভাবা যায় না। খাবারের অর্ডার দিলে তা বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকী একসঙ্গে বসে কয়েকজন কথা বলতে গেলেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। আর বিজেপির চর এসে আড়ি পাতছে।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। এবার বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ–সহ দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠল। সংগঠনের কাজে ত্রিপুরায় এসে চরম পরিস্থিতির মুখে পড়েন যুবনেত্রী সায়নী। যুবনেত্রীর দাবি, ত্রিপুরা বিজেপির লজ্জা হওয়া উচিত। যতই যাই করুক, সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করলেও আটকানো যাবে না তৃণমূল কংগ্রেসকে। ত্রিপুরায় মহিলা সাংসদদের উপর হামলার পর এবার যুবনেত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসহযোগীতার ঘটনায় তেতে উঠেছে ত্রিপুরা।