পরপর দু’দিন আক্রমণ নামিয়ে আনা হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উপর। শুক্রবার দিনই কলেজের ভিতরে মারধর থেকে ছাত্রীকে অপহরণের মতো ঘটনা ঘটেছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ফের আক্রমণ নামিয়ে আনা হল। বাঁধারঘাটে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা–নেত্রীর উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। পর পর তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করার অভিযোগ উঠল বিজেপির ছাত্র সংগঠন এভিবিপি’র বিরুদ্ধে।
এই ঘটনা নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মিছিলের আয়োজন যখন নেওয়া হচ্ছে তখন তা বানচাল করতে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপির গুণ্ডাদের। বাঁধারহাটে যোগদান মেলা ছিল। বিজেপির দুষ্কৃতীরা বাড়ি ভাঙচুরও করেছে। সশস্ত্র গুন্ডাদের হামলা থেকে কর্মীদের বাঁচাতে সেই জায়গায় আমরা পৌঁছবই।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার আগরতলায় দলের নেত্রী সোলাঙ্কি সেনগুপ্তকে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে এভিবিপি’র বিরুদ্ধে। পুলিশের সামনেই তাঁদের মারধর করা হয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে প্রচার চালাচ্ছিল আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম কলেজে। সেখানেই এবিভিপি’র সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। হামলা করা হয় ছাত্রনেতাদের উপর।
শনিবার ভার্চুয়াল ভাষণ শুরু তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার ঘুঁটি এখন থেকেই সাজানো চলছে। আর ২০২৩ সালে ত্রিপুরা জয় তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য। তাই এবার ত্রিপুরার ছাত্রদের কাছে আজকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।