প্রথমে ঠিক ছিল, শুধুমাত্র কুণাল ঘোষ এবং ব্রাত্য বসু যাবেন। রাতের দিকে সিদ্ধান্ত হল যে রবিবার ত্রিপুরায় যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূল সূত্রে এমনই খবর মিলেছে।
গত ২ অগস্ট ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন অভিষেক। তারপর থেকে ত্রিপুরায় ক্রমশ পায়ের তলার জমি শক্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তারইমধ্যে শনিবার তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যে দুষ্কৃতী হামলার শিকার হয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্তরা। দেবাংশুদের দাবি, ধর্মনগরে যাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতারা। সেই সময় রাস্তায় তাঁদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। প্রথমে ইট মারা হয় গাড়িতে। এরপর লাঠি, রড দিয়ে হামলা চালানো হয়।
সেই ঘটনা নিয়ে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকে তোপ দাগেন অভিষেক। টুইটারে জখম নেতাদের ছবি পোস্ট করে লেখেন, 'এই অত্যাচার আপনার অমানবিকতার প্রমাণ। যা খুশি করে নিন। ত্রিপুরায় তৃণমূল এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না।' অভিষেকের পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, জয়ার গাল কেটে গিয়েছে। মাথা ফেটে গিয়েছে সুদীপের। ভাঙচুর চালানো হয়েছে গাড়িতে। তখন তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হচ্ছিল, অভিষেকের নির্দেশে রবিবার ত্রিপুরায় যাবেন কুণাল এবং ব্রাত্য। যে কুণাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে তোপ দেগে বলেন, 'ত্রিপুরায় আমাদের সহকর্মীরা আক্রান্ত, রক্তাক্ত। গণতন্ত্রকে হত্যা করছে বিজেপি। তীব্র প্রতিবাদ জানাই। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন আঙুল চুষবে?' পরে অবশ্য সিদ্ধান্ত হয়, আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়াতে অভিষেকই যাবেন।
গত সোমবার যখন অভিষেক ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন, তখন গাড়িতে পড়েছিল লাঠি। উঠেছিল 'গো ব্যাক' স্লোগান। দফায়-দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। তারইমধ্যে অভিষেক বলেছিলেন, ‘আমরা ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করছি। আগামী দেড় বছরে রাজ্যকে বিজেপি সরকারের অপশাসন থেকে মুক্ত করা এবং আমাদের সরকার গড়ার লক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে।’ সঙ্গে যোগ করেছিলেন, 'শুধুমাত্র ত্রিপুরার মানুষই ত্রিপুরার শাসন করবেন। বাংলার মানুষ নন।'