ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগে এক সপ্তাহ আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখেল। গুজরাট পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছিল সাকেতকে। সেই মামলায় গতকাল আদালতে পেশ করা হয়েছিল তৃণমূল নেতাকে। মামলায় জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন সাকেত। তবে আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। প্রসঙ্গত, এক মাসের মধ্যে এ নিয়ে তিনবার গ্রেফতার হয়েছেন সাকেত।
জানা যায়, গত সপ্তাহে দিল্লির চাণক্যপুরীতে বঙ্গভবনের সামনে থেকে সাকেত গোখেলকে আটক করেছিল আমদাবাদ সাইবার ক্রাইম বিভাগ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ (প্রতারণা), ৪০৬ (বিশ্বাসের অপরাধমূলক লঙ্ঘন) এবং ৪৬৭ (জালিয়াতি) ধারার অধীনে মামলা রুজু করা হয়। এই আবহে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনীশ চৌহান সাকেতের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। সাকেতকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠান বিচারক।
আমদাবাদের বাসিন্দার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে সাকেতের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। অভিযোগকারী দাবি করেছিলেন যে তিনি অনলাইন মোডের মাধ্যমে সাকেত গোখেলকে ৫০০ টাকা দান করেছেন। সাকেত গোখেল পালটা যুক্তি দিয়ে দাবি করেন যে অভিযোগকারী একজন সরকারি কর্মচারী। সাকেতের আরও অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভের কারণেই প্রতিশোধমূলক ভাবে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। সাকেত দাবি করেন, তিনি সংগৃহীত তহবিলের উপর কর দিয়েছিলেন।
এদিকে সরকারি আইজীবীর দাবি, বিষয়টি শুধুমাত্র ৫০০ টাকার নয়। মোট ১৭০০ জনের থেকে ৮০ লাখ টাকা তুলেছেন সাকেত। 'ourdemocracy' নামক প্ল্যাটফর্মে সাকেত সাধারণ মানুষের কাছে টাকা চেয়ে বেড়ান। তিনি দাবি করেন, তিনি একজন সমাজকর্মী। আরটিআই-এর মামলার মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করে জনগণের জন্য কাজ করার জন্য এই টাকা তাঁর প্রয়োজন বলে দাবি করেন তৃণমূল নেতা। তবে পুলিশের অভিযোগ, সাকেত এই সংগৃহীত টাকা ব্যক্তিগত কারণে খরচ করেন। এর আগে আরটিআই করার নামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে 'ভুয়ো' টুইট করায় গ্রেফতার হয়েছিলেন সাকেত। এই মামলায় যেদিন জামিন পান, সেদিনই ফের অশান্তি ছড়ানোর মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এবার টাতকা নয়ছয়ের মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল খাটছেন এই তৃণমূল নেতা।