দেশীয় পদ্ধতি তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনকে স্বীকৃতি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। হু–এর এই স্বীকৃতির ফলে বিশ্বজুড়ে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। ভারত বায়োটেকের আশা, সেই অনুমোদনের ফলে বিশ্বের সর্বত্র সমানভাবে টিকা পৌঁছে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে কোভ্যাকসিনের এই স্বীকৃতি মেলায় ভ্যাকসিনটিকে প্রয়োজন মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিতরণের অনুমতিও মিলবে। ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুচিত্রা এল্লা জানান, সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে বিশ্বমানের করোনার ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিন প্রকৃষ্ট উদাহারণ। এই উদ্যোগ সারা বিশ্বে উন্নত ও উন্নতিশীল দেশগুলিতে করোনা প্রতিরোধে অনেকটাই সাহায্য করবে। উল্লেখ্য, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারত বায়োটেক এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে, যার করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা ৭৭.৮ শতাংশ বলে দাবি করা হয়েছে। ভারত বায়োটেকের দাবি, যাঁরা উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা ৬৩.৬ শতাংশ।
এমনিতে জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের অনুমোদনের জন্য গত ১৯ এপ্রিল নথি পেশ করেছিল ভারত বায়োটেক। যে সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) সঙ্গে যৌথভাবে কোভ্যাক্সিন তৈরি হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই অনুমোদন পায়নি সেই টিকা। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রশ্নের জবাবে হুয়ের তরফে বলা হয়েছে, ‘টেকনিকাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ আজ (২৬ অক্টোবর) আলোচনায় বসেছিল। জরুরি ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী টিকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুবিধা ও ঝুঁকি নিয়ে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করতে যে অতিরিক্ত উত্তর লাগবে, তা উৎপাদনকারী সংস্থার থেকে চাওয়া হয়েছে।’ সঙ্গে বলা হয়েছে, ‘চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সেই জবাব চলে আসবে বলে মনে করছে টেকনিকাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ এবং সুবিধা ও ঝুঁকি নিয়ে চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য ৩ নভেম্বর (বুধবার) আবার মিলিত হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ’ সেই বুধবারই কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান।