আর্থিকভাবে বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কায় এবার জনরোষ মূলত রাজাপাকসে পরিবারকে ঘিরে। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপাকসে ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। তবে তাতে নিরসন হয়নি জন-ক্ষোভ। সরকার বিরোধীদের দাবি, এই পরিবার গোটা দেশকে সবচেয়ে বড় অর্থসংকটে ফেলে দিয়েছে। এর মাঝেই রাজাপাকসের পৈতৃক বাসভবনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৫ জনের। সেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮। এমন পরিস্থিতিতে শুট অ্যাট সাইটের ঘোষণা করেছে সেদেশের সরকার।
এদিকে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতবায়া রাজাপাকসে এদিন মানুষরে কাছে ‘হিংসা রুখে প্রতিশোধ বন্ধ করার’ আহ্বান জানান। তবে তাতেও বাগ আনা যায়নি উত্তেজিত জনতাকে। এরপরই শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় যে হিংসায় যুক্ত হতে দেখলেই তাকে গুলি করা হবে। দেশবাসীর কাছে এই শুট অ্যাট সাইট-এর বার্তা স্পষ্ট করা হয়। এদিনের ঘটনায় আরও স্পষ্ট হয়েছে যে রাজাপাকসের ইস্তফাতে কোনওমতেই বিক্ষোভের আগুনকে নেভানো যায়নি শ্রীলঙ্কায়। প্রাক্তন মন্ত্রী জনস্টন ফার্নানডোর বাসভবনকেও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। শ্রীলঙ্কার জনরোষে মৃত্যু হয় এক সাংসদের।
প্রসঙ্গত, আর্থিক বিপাকে থাকা শ্রীলঙ্কায় বহুদিন ধরেই সংকট দেখা দিতে থাকে। দেশ নিজেকে ঋণখেলাপি বলেও জানান দেয়। বিভিন্ন বিদেশী ঋণ পরিশোগে অপারগ বলে দেশ নিজের পরিস্থিতি তুলে ধরে। এর আগে কোভিডের লকডাউনে সেদেশের পর্যটন শিল্পে ব্যাপক ধাক্কা লাগে। মনে করা হচ্ছে শ্রীলঙ্কার আর্থিক দুর্গতির নেপথ্যে সেটি অন্যতম বড় কারণ। এরপর আর্থিক দুর্গতি দেখা দিতেই শ্রীলঙ্কায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুতের অভাব দেখা যায়। সংকট হয় জ্বালানির, খাদ্যের, টাকার। মেলেনা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। এরপর থেকেই জনরোষ বাড়তে থাকে।