অসমের ডিমা হাসাওয়ের তিন কিলো এলাকায় কয়লাখনিতে আচমকা বন্যার জেরে বহু শ্রমিক সেখানে আটকে পড়েন। শ্রমিকদের উদ্ধারে নেমেছে সেনা, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, ৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। মোট ৯ জন প্রাথমিকভাবে সেখানে আটকে পড়েছিল বলে খবর।
অসমের ডিমা হাসাও জেলার উমরাংসো এলাকার ৩ কিলোতে এক ইঁদুর-মুখ কয়লাখনিতে ঢুকে যায় বন্যার জল। উল্লেখ্য , ওই উমরাংসো এলাকায় বহু খনির কাজ হয়ে থাকে। সেখানেরই একটি খনিতে বন্যার জল ঢুকে যায়। জানা যায়, প্রাথমিকভাবে ৯ জন ওই খনিতে আটকে পড়েন। পরে খবর মেলে, সেখানে ৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে সেনা, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ নামে। প্রস্তুত রয়েছে নৌসেনার ডাইভাররাও।
জানা যাচ্ছে, যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের বয়স ২৫ থেকে ৫৭ বছর। কোনও একটি খননের কাজ থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড জল সেখানে ঢুকে পড়ে বলে জানা যাচ্ছে। তার জেরেই এই ক্ষতি। ওপর থেকে ৩ জনের দেহ ওই খনি ভিতরে দেখা যাচ্ছে বলে বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে সেখানে ৩ জনের মৃত্যু হতে পারে।
( Mamata Banerjee Latest News: অক্সফোর্ড থেকে ডাক.. মার্চে লন্ডন যাচ্ছেন মমতা? নয়া রিপোর্ট ঘিরে জল্পনা)
এই এলাকায় উদ্ধার একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ খনিটির গভীরতা ভূস্তর থেকে ৩০০ ফুট। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, খনির ভিতরে জলস্তরে হেলমেট ও চটি ভাসতে দেখা যাচ্ছে। তার জেরে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। ডিমা হাসাও জেলার ডেপুটি কমিশনার সিমন্ত কুমার দাস জানান, মঙ্গলবার সকালে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানো এবং তাদের উদ্ধারের চেষ্টা শুরু হয়। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা রিকি বি ফুকন বলেন, আটকে পড়া খনি শ্রমিকদের সঙ্গে এখনো কোনো যোগাযোগ হয়নি এবং তাদের অবস্থা কী ছিল তা তারা জানে না। এদিকে সেনার গুয়াহাটি এলাকার জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দর রাওয়াত বলেন,'বিশেষজ্ঞ ডুবুরি, প্রকৌশলী, সরঞ্জাম সহ টাস্ক ফোর্স, মেডিকেল টিম এবং সেনাবাহিনী এবং আসাম রাইফেলসের সহায়তা কর্মীরা উদ্ধার প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছে এবং উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বেসামরিক প্রশাসনের সাথে একযোগে সমস্ত প্রচেষ্টা করা হচ্ছে'।