চিনের কাছে লাদাখ সীমান্ত খেকে পুরোপুরি সেনা সরানোর দাবি তুলল ভারত। ভারতের দাবি, চিন যদি পুরোপুরি সেনা না সরায়, তাহলে দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসবে না। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয়, চিনের পক্ষ থেকে অবশ্য পুরোপুরি সেনা সরিয়ে নেওয়া নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
গত বছর ধরে দফায় দফায় ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক ও সেনা স্তরে আলোচনা হয়।দু'পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর পূর্ব লাদাখ সীমান্তে বিভিন্ন জায়গা থেকে চিন সেনা সরাতে শুরু করে। প্যাংগং হ্রদের পাশ থেকে সেনা সরিয়ে নেয় চিন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ডেপস্যাং, হটস্প্রিং, গোগরা-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এখনও চিন সেনা সরায়নি। সেই কারণেই ভারতের পক্ষ থেকে এবার লাদাখ সীমান্তে পুরোপুরি সেনা সরানোর দাবি তোলা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ভারত–চিন দুই তরফে কূটনৈতিক ও সেনাবাহিনী স্তরে আলাপ আলোচনা জারি আছে। চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র রেন গুয়োকুইয়াং বলেন, ‘ধীরে ধীরে লাদাখ সীমান্তে শান্তির পরিবেশ ফিরে আসছে। ভারত ও চিন যৌথভাবে যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে সাধুবাদ জানাই। আশা করি, ভবিষ্যতেও চিন ও ভারত দু'পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক আলাপ আলোচনা লাদাখে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সক্ষম হবে।’
একইসঙ্গে চিনের তরফে কোয়াড জোটের বিরোধিতা করা হয়। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, চিন কোয়াড জোটের তীব্র বিরোধিতা করছে। এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মস্তিষ্ক প্রসূত। এই ধরনের পদক্ষেপ ঠাণ্ডা লড়াইকে ইন্ধন জোগায়। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরা্ষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানকে নিয়ে এই কোয়াড জোট তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি এই চারটি দেশ ভার্চুয়াল সম্মেলনও করেছে। সেখানে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ওশিহিদে সুগা।