কোনও শারীরিক হেনস্থার উদ্দেশ্য ছাড়া শিশুদের গাল স্পর্শ করা মোটেই যৌন হেনস্থা নয়। সম্প্রতি এমনই ঐতিহাসিক রায় দিল বম্বে হাই কোর্ট।
আট বছরের এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে থানের বাসিন্দা মহম্মদ আহমেদ উল্লার বিরুদ্ধে। আহমেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। মামলা গড়ায় হাই কোর্টে। বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি সন্দীপ শিন্দে জানান, শারীরিক হেনস্থার উদ্দেশ্য ছাড়া শিশুর গাল স্পর্শ করা যৌন নিগ্রহ বলে বিবেচিত হবে না। অভিযুক্ত কোনও উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে গাল স্পর্শ করেছিল কিনা, তা স্পষ্ট নয়। আদালত উল্লার জামিন মঞ্জুর করেছে। এর আগে অবশ্য নাবালিকার পক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানায়, উল্লা ওই নাবালিকাকে মাংসের দোকানে নিয়ে যায়। নাবালিকার গাল স্পর্শ করে ও তাঁকে নানাভাবে হেনস্থার চেষ্টা করে। সেই সময় এক মহিলার সন্দেহ হওয়ায় তিনি দোকানে ঢোকেন ও নাবালিকাকে নিয়ে যান। অন্যদিকে উল্লার পক্ষে দাবি করা হয়, ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো আরোপ করা হচ্ছে। দুই পক্ষের এই রায় শোনার পর আদালতের তরফে উল্লার জামিন মঞ্জুর করে এই রায় দেওয়া হয়।
গত বছরে মহারাষ্ট্রের রাবোধি থানায় উল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পকসো আইনের একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর আগে মেয়ে মায়ের পদবী ব্যবহার করতে পারে বলে আদালতের তরফে রায়দান করা হয়। সেই প্রসঙ্গে বিচারপতি রেখা পল্লী জানিয়েছেন, মেয়ে বাবা বা মায়ের পদবি ব্যবহার করতে পারবে। পদবি বাছাইয়ের স্বাধীনতা মেয়ের আছে।