বছরের শেষ 'মন কি বাত'-এ যুবসমাজের মন পেতে কোনও কসুর করলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নতুন দশকে কেন যুব সম্প্রদায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, তা নিয়ে আলোচনা করলেন তিনি।
'মন কি বাত'-এর ৬০ তম পর্বে মোদী বলেন, 'আগামী দশকে দেশের যুবসমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আজকের যুবরা একটি কাঠামোতে (সিস্টেম) বিশ্বাস রাখেন ও বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের নিজস্ব মতামত রয়েছে। আমার মতে, এটা খুব ভালো।'
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ক্ষোভে ফুঁসছে পড়ুয়াদের একটি অংশ। তা নিয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও ঘুরিয়ে পড়ুয়াদের সংশোধিত আইন নিয়ে পড়াশোনার 'উপদেশ' দিয়েছিলেন মোদী। তাতে উলটে ক্ষোভের মাত্রা বাড়ে। সেই ক্ষতে প্রলেপ লাগাতে মোদী 'মন কি বাত'-এ যুবসমাজের ভূয়সী প্রশংসা করলেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের যুবরা কাঠামো (সিস্টেম) মেনে চলতে পছন্দ করেন। যখন সেই সিস্টেম কাজ করে না। সেই সিস্টেমের ফাঁকফোকর নিয়ে প্রশ্ন করেন ও অরাজকতা পছন্দ করেন না। আজকের যুবসমাজ অস্থিতিশীলতা, বিশৃঙ্খলা, স্বজনপোষণ পছন্দ করে না।'
একধাপ এগিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের উক্তি তুলে মোদী বলেন, 'আধুনিক ও যুব প্রজন্মের উপর আস্থা রয়েছে। তাঁদের মধ্য দিয়েই আমার সহকর্মীরা উঠে আসবেন। সিংহের মতো তাঁরা সব সমস্যা মিটিয়ে দেবেন।'
যুবসমাজ কীভাবে দেশের উন্নয়নে সহায়তা করতে পারবে, সেই পন্থাও বাতলান মোদী। বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলার ভৈরাবগঞ্জের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদাহরণ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশপাশের গ্রাম থেকে হাজার-হাজার মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য আসেন। এটা সরকারের কোনও প্রকল্প নয় বা সরকার কোনও উদ্যোগ নেয়নি। বরং স্থানীয় কে আর স্কুলের প্রাক্তন পড়ুয়ারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। দলটির নাম সংকল্প ৯৫।'