মায়ের পোশাক ধরে খেলছে একরত্তি সন্তান। মা-কে 'ঘুম' থেকে তোলার চেষ্টা করছে। হয়তো তার সঙ্গে খেলার জন্য। কিন্তু কোনও সাড়া নেই মায়ের। নিথর তিনি। ছেলে তবু চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বিহারের মুজফ্ফরপুর স্টেশনের এরকম একটি মর্মান্তিক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তরুণীর পরিবার জানিয়েছে, শনিবার আমদাবাদ থেকে বিহারগামী ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেনে উঠেছিলেন। জল ও খাবারের অভাবে ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার মুজফ্ফরপুরে ট্রেন ঢোকার কিছুটা আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্টেশনেই মহিলার দেহ রাখা হয়। পরিবারের দাবি, অত্যধিক গরম, খিদে এবং ডিহাইড্রেশনে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
যদিও পুরোপুরি ভিন্ন তত্ত্ব খাড়া করেছে রেল। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, তরুণীর দেওরকে উদ্ধৃত করে মুজফ্ফরপুরে আরপিএফের ডেপুটি সুপার রমাকান্ত উপাধ্যায় বলেছেন, 'আমার বৌদি হঠাৎ ট্রেনে মারা যান। খাবার বা জল পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কোনও সমস্যায় পড়িনি।' যদিও দেওরের নাম প্রকাশ করেননি ওই আধিকারিক।
একইসঙ্গে মৃতার দেওরকে উদ্ধৃত করে রমাকান্ত জানান, গত এক বছর ধরে আমদাবাদে তরুণীর 'কিছু চিকিৎসা' চলছিল। সোমবার পরিবারের থেকে খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, 'উনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।'
তবে কী কারণে মহিলার মৃত্যু হয়েছে, তা জানাতে চাননি রমাকান্ত। অনেক জোরাজুরির পর তাঁর মন্তব্য, ‘শুধুমাত্র চিকিৎসকরা বলতে পারবেন।’