বিএল সন্তোষ। একটা সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের নেতা ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন)। দল সূত্রে খবর, গত তিনদিন ধরে যোগী রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে কার্যত রুদ্ধশ্বাস পর্যালোচনা করেছন তিনি। সেই পর্যালোচনা শেষে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কোভিড মোকাবিলা নিয়ে একেবারে প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি।দরাজ সার্টিফিকেটও দিয়েছেন তিনি। এনিয়ে টুইটও করেছেন তিনি। মাঝরাতের টুইটে উল্লেখ করা হয়েছে, সংক্রমণের হার অত্য়ন্ত দক্ষতার সঙ্গে কমানো হচ্ছে যোগী রাজ্যে। সকালের টুইটে তুলে ধরা হয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারে যোগীর সাফল্য। পাশাপাশি তাঁর পরামর্শ দল ও সরকারকে কার্যত হাত ধরাধরি করে থাকতে হবে। মোদ্দা কথা, পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে উভয়ের মধ্যে সমণ্বয়ের অভাব যাতে না হয় সেটাই আরও একবার মনে করাতে চেয়েছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদি আর যোগী আদিত্যনাথের সাফল্যকে মানুষের সামনে তুলে ধরার ব্যাপারেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তবে যোগী অনুগামীদের দাবি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যে এখনও আরএসএসের গুড বুকে রয়েছেন এই টুইটই তার প্রমাণ। কিন্তু এভাবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বসে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবে এটা নিয়ে ইতিমধ্যে নানা কথা উঠতে শুরু করেছে। এনিয়ে দলের একাংশের মধ্যেই নানা কানাঘুষো শুরু হয়েছে। তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাফ কথা, এখন দোষারোপ, পালটা দোষারোপের সময় নয়। ২০২২ এ উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের আর মাত্র ৯ মাস বাকি। সেক্ষেত্রে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না বিজেপি নেতৃত্ব।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দলের একাংশ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন ‘অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো বিজেপির অন্দরেও মতবিরোধ থাকতে পারে। দলীয় আভ্যন্তরীন আলোচনায় সেগুলি আলোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু নির্বাচনে যেতে গেলে একেবারে ঐক্যবদ্ধভাবে যেতে হবে।’ যোগীকে মুখ্যমন্ত্রী প্রজেক্ট করেই আগামী নির্বাচনে নামতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এমনটাই খবর দল সূত্রে।