কম ব্যয়বহুল, ছোটো শহর থেকে কাজ করলে সেই অনুযায়ী কমানো হবে বেতন। কর্মীদের উদ্দেশে এমনটাই জানাল সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা ফেসবুক।
করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে চল বেড়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের। বেশিরভাগ আইটি, ডিজিটাল মিডিয়া, অ্যাকাউন্টিং জাতীয় কম্পিউটারভিত্তিক কাজ করা হচ্ছে অনলাইনে। কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের সুবিধা দিয়েছে ফেসবুক-ও।
করোনা পরিস্থিতির পরেও কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের অপশন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। তবে, একই সঙ্গে ফেসবুক জানিয়েছে, 'কম ব্যয়বহুল শহরের বাড়ি থেকে যদি কর্মীরা কাজ করেন, সেক্ষেত্রে সেই অনুযায়ী হ্রাস করা হতে পারে বেতন।'
কর্মীরা চাইলেই পাকাপাকিভাবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম বেছে নিতে পারেন বলে জানিয়েছে ফেসবুক। তবে, প্রয়োজনমাফিক তাঁদের অফিসে আসতেও উত্সাহিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে অন্তত ৫০% কর্মীদের অফিসে আনার বিষয়ে ভাবছে ফেসবুক। তবে প্রাথমিকভাবে চলতি বছরে মাসে ২০দিন করেই অফিস খোলা থাকবে। এমনটাই পরিকল্পনা সংস্থার। বাকি দিন বাড়ি থেকেই কাজ করবেন কর্মীরা।
ফেসবুকের এক আধিকারিক জানান, পুরোটাই করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। সেই বুঝেই ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে, করোনা না থাকলেও ওয়ার্ক ফ্রম হোমই ভবিষ্যতে স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও মাসে কিছুদিন করে অফিস গেলে কাজে সুবিধাই হবে।