বহুদিন ধরেই পুলিশ ও আধা সেনার ত্রাস মুপাল্লা লক্ষণ রাও ওরফে গণপতি (৭২)। এবার কিন্তু বয়সের ভারে ন্যুব্জ গণপতি আত্মসমর্পণ করতে চায়, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। তেলেঙ্গানা পুলিশের কাছে সে আত্মসমর্পণ করতে চায় বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
এই জন্য তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসি আরের ঘনিষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে গণপতি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সে আত্মসমর্পণ করতে পারে। তার মাথায় আছে দেড় কোটি টাকার ইমাম। কেসিআর ও গণপতি দুজনেই করিমনগরের বাসিন্দা।
খারাপ স্বাস্থ্যের কারণেই সক্রিয় মাওবাদের পদ থেকে সরে আসতে চায় গণপতি। জানা গিয়েছে তার অ্যাস্থমা, ডায়েবিটিস ও হাঁটুতে ব্যথা আছে। এই মুহূর্তে ছত্তিসগড় ও মহারাষ্ট্রের সীমান্তে সে লুকিয়ে আছে বলে জানা গিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইপিএস অফিসার জানিয়েছেন যে গণপতি আত্মসমর্পণ করবে তেমন নিশ্চিত করে বলা না গেলেও সেরকম একটা সম্ভাবনা যে আছে, সেটা বলাই বাহুল্য।
দেশে মাওবাদী আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে গণপতির। সিপিআইএমএল পিপিলস ওয়ার গ্রুপ ও মাওয়িস্ট কম্যুনিস্ট সেন্টার অফ ইন্ডিয়ার মিশে গিয়ে সিপিআই মাওয়িস্ট তৈরী হয়। এরপর ২০১৮ অবধি দলের প্রধান হয় সে।
কৃষি পরিবারের সদস্য গণপতি বিজ্ঞানে স্নাতক। নকশাল আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার আগে শিক্ষকতা করত সে। এরপর নকশালদের মধ্যে দ্রুত তার পদবৃদ্ধি হতে থাকে সে। বুদ্ধিজীবী হিসাবে নকশালদের দিক প্রদর্শক হিসাবে বিশেষ খ্যাতি ছিল তার।