ফের ব্যাপম কাণ্ডের ছায়া। মধ্যপ্রদেশে প্রফেশনাল এক্সামিনেশন বোর্ডের পরীক্ষায় আর এক ব্যাপম কেলেঙ্কারির আভাস পাচ্ছেন কেউ কেউ। সেখানে এক তাজ্জব ঘটনা ঘটেছে। কৃষি দফতরের এক পরীক্ষায় শীর্ষ ১০ জনের নম্বর একই। দেখা গিয়েছে, ওই ১০ জন উত্তরপত্রে একই ভুল করেছেন। অর্থাৎ ঠিক, ভুল দুই উত্তরই ১০ জনের হুবহু মিল পাওয়া গিয়েছে। আরও অবাক করার বিষয়, এই ১০ জন পরীক্ষার্থী একই কলেজের ও শিক্ষাগত যোগ্যতা একই। এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে, পরীক্ষায় এই ১০ জনের হয়ে কী কেউ ‘প্রক্সি’ দিতে এসেছিল। এই ঘটনায় তোলপাড় মধ্যপ্রদেশ।
জানা গিয়েছে, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষাটি হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার ফল বেরিয়েছিল। ইন্দোরের এক পরীক্ষার্থী রঞ্জিত রঘুনাথ বলেন, ‘এটা একটা বড় দুর্নীতির হিমশৈলের চূড়ামাত্র। যে ১০ জন পরীক্ষার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিল, তারা প্রত্যেকে চম্বল ডিভিশনের। এদের মধ্যে ৯ জন একই সম্প্রদায়ের। তারা প্রত্যেকেই কৃষি বিজ্ঞানে স্নাতক ও প্রত্যেকেই গোয়ালিয়রে সরকারি কৃষি কলেজ থেকে পাশ করেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই পাঁচ বা তার থেকে বেশি বছরের ডিগ্রি কোর্সের মধ্যে ৪ বছরের কোর্স শেষ করে ফেলেছেন।’
এখানে বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানিয়েছেন, ওই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ একথাও বলে বেরিয়েছেন যে, পরীক্ষার আগেই তারা ১০০ শতাংশ সিলেক্টেড হয়ে গিয়েছেন। এটা থেকে পরিষ্কার, পরীক্ষার আগেই হয় তাদের কাছে প্রশ্নপত্র চলে এসেছিল বা এমন কিছু ব্যবস্থা তারা করেছিল যাতে তারা পরীক্ষায় সফল হতে পারে। এই ১০ জনের মধ্যে কেউ ২০০–র মধ্যে ১৯৫ পেয়েছেন, কেউ পেয়েছেন ১৯৪। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয়, একজন সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক ডিগ্রি কোর্সের পরীক্ষায় স্ট্যাটিস্টিক্সে ৪ বার ফেল করেছে। ৮ বারে সে স্নাতক। উল্লেখ্য, ৮৬২টি শূন্যপদের জন্য এই পরীক্ষা হয়েছিল।
ইতিমধ্যে মধ্যপ্রদেশের প্রফেশনাল এক্সামিনেশন বোর্ডের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কীভাবে একটি কালো তালিকায় থাকা সংস্থাকে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরীক্ষার্থীরা কৃষি মন্ত্রী কমল প্যাটেলের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি গোটা ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। বোর্ডের ডিরেক্টর শান্মুঘা প্রিয় মিশ্র জানান, পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে এই যাবতীয় অভিযোগ, তাদের সঙ্গে অবশ্য ফোনে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।