ডেভিড লইতফ্লাং
বৃহস্পতিবার রাত থেকে অঝোরে বৃষ্টি। শুক্রবারও দফায় দফায় বৃষ্টি।আর সেই বৃষ্টিতে উত্তরপূর্বের বহু এলাকা বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর প্রবল বৃষ্টির মধ্যে মেঘালয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বহু এলাকায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তাও ভেঙে গিয়েছে। মেঘালয়ের শিলংয়ে প্রবল বৃষ্টিতে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে। এর মধ্যে নদীর জলস্তরও বাড়ছে। বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় ধস নামতে শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ৪২ বছর বয়সী জোংসা গ্রামের এক বাসিন্দা ধসে চাপা পড়ে যান। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মেঘালয়- অসম সীমান্তে বিরনিহাট এলাকায় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। একটি অটোর উপর গাছ পড়ে যায়। সেখানে চারজন জখম হয়েছেন।পশ্চিম খাসি পাহাড়ে অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে গ্রেটার শিলং, মাওপাত, মাইলিম সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে অসমের গুয়াহাটির বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। মণিপুরে জীবনযাত্রা পুরো বিপর্যস্ত। বড় নদীগুলির জল ক্রমশ বাড়ছে।ইম্ফল নদী ও নাম্বোল নদীর জল বিপদসীমার কাছে চলে এসেছে। ইম্ফলের বহু নীচু এলাকা জলের নীচে চলে গিয়েছে। এদিকে বিঘার পর বিঘা ফসলের জমি জলের নীচে চলে গিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গবাদি পশু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে।
ইম্ফল-জিরিবাম সেক্টরে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ইরাং নদীর উপর একটি সেতু ভেঙে গিয়েছে। ত্রিপুরাতেও প্রচন্ড বৃষ্টিতে অন্তত দুটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।