মহামারীতেও মুনাফার লোভ। গুরুতর করোনা রোগীর অত্যাবশকীয় অক্সিজেনও এখন কালোবাজারির দ্রব্য। তারই প্রমাণ মিলল আরও একবার। অভিযান চালিয়ে দিল্লির খান মার্কেটের কয়েকটি রেস্তোরাঁ থেকে প্রায় ৫২৪ টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ।
খান মার্কেটের একাধিক রেস্তোরাঁতে বাক্সবন্দি অবস্থায় মজুত করে রাখা হয়েছিল অক্সিজেন কনসেনট্রেটরগুলি। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, নবনীত নামে এক ব্যক্তি এই রেস্তোরাঁগুলির মালিক। তিনি ও তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনার ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালু করেছে দিল্লি পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই অক্সিজেন কনসেনট্রেটরগুলি সুযোগ বুঝে মোটা দামে বিক্রি করত নবনীত ও তার চক্র। এক একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর প্রায় ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হত।
রেস্তোরাঁর ভিতরে কীভাবে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মজুত করে রাখা হয়েছে, তার ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে এএনআই। দিল্লি পুলিশ সূত্রে প্রাপ্ত সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে কীভাবে বাক্স বাক্স অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রেখে দেওয়া হয়েছে কালোবাজারির জন্য। দেখুন সেই ভিডিয়ো।
নয়াদিল্লিতেই গত তিন সপ্তাহে ৭৫টি কালোবাজারি চক্র গ্রেফতার হয়েছে। চড়া দামে অক্সিজেন-ওষুধ বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ৯০ জনেরও বেশি।