২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গোটা দেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ছিল ৫৪৪ জন। মঙ্গলবার সংসদে এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দীপক অধিকারীর (দেব) লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বান্দি সঞ্জয় কুমার। তিনি আরও জানিয়েছেন, যাদের মৃত্যুদণ্ড এখনও ঝুলে আছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সাজা কমানোর জন্য আবেদন করেছেন সেই সংখ্যা কেন্দ্রীয়ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না।
আরও পড়ুন: বান্ধবীর গলা কেটে খুন পাকিস্তানি ধনকুবেরের ছেলের, মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত
ন্যাশনাল ক্রাইমস রেকর্ড ব্যুরোর (এনসিআরবি) ‘ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া ২০২২’ রিপোর্টের তথ্য উল্লেখ করে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৫ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এছাড়াও, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রাজ্যভিত্তিক তথ্য পেশ করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, সবচেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বন্দি রয়েছে উত্তরপ্রদেশের কারাগারে। তারপরেই রয়েছে গুজরাট।সেখানে এই আসামির সংখ্যা হল ৪৯ জন। ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্র ৪৫ জন করে, মধ্যপ্রদেশে ৩৯ জন, কর্ণাটকে ৩২ জন, বিহারে ২৭ জন, পশ্চিমবঙ্গে ২৬ জন, হরিয়ানায় ২১ জন, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ড ২০ জন করে, কেরলে ১৯, অন্ধ্রপ্রদেশে ১৫ এবং তামিলনাড়ুতে ১৪ জন বন্দি রয়েছে।
এনসিআরবির তথ্য উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে দিল্লিতে ৯ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছে। আর জম্মু ও কাশ্মীরে ৮ জন দোষী সাব্যস্ত বন্দি রয়েছে। কোন কোন আইনের ভিত্তিতে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে সে বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন সঞ্জয়। তিনি জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধিতে (আইপিসি) ১৩টি অপরাধ এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ১৫টি অপরাধের ভিত্তিতে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে এছাড়াও, সংগঠিত অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ-এর অপরাধ অন্তর্ভুক্ত থাকায় এই সংখ্যা বেড়েছে।
এদিকে, ২০২৩ সালের জন্য এনসিআরবি-র বার্ষিক অপরাধ তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে কেন বিলম্ব হচ্ছে? সেই কারণও জানতে চাওয়া হয় মন্ত্রীর কাছে। সেই প্রশ্নের জবাবে সঞ্জয় বলেন, ২০২৩ সালের জন্য তথ্য যাচাইকরণ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এনসিআরবি তিনটি বার্ষিক পরিসংখ্যান প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেগুলি হল- ‘ভারতে অপরাধ’, ‘ভারতে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ও আত্মহত্যা’ এবং ‘ভারতে কারাগার পরিসংখ্যান’। এনসিআরবি সারাদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে, তাই নির্দিষ্ট বছর শেষ হওয়ার পরেই তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই সংস্থা ৮৯টি কেন্দ্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে।