রফিকুল ইসলাম সবুজ
গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় হিংসা বাংলাদেশে। কিন্তু এখন কেমন আছে বাংলাদেশ?
সূত্রের খবর, গত ১৬ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ঢাকা সহ বাংলাদেশ জুড়ে ১৯৭জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গত শুক্রবার মাঝরাতে বাংলাদেশে যে কারফিউ জারি করা হয়েছে তার মেয়াদ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে বেলা ১০টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত কার্ফু কিছুটা শিথিল থাকবে।
ওই সময় সেনা মোতায়েন থাকবে। বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও সমস্ত অফিস, আদালত, ব্যাঙ্ক, ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত খোলা থাকবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, বাধ্য হয়ে কার্ফু জারি করেছি। তিন চারদিনের মধ্য়ে আশা করছি সবই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। মানুষ এটা পছন্দ করছে না।
এদিকে কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে রবিবার আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছে তার ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। সেখানে বলা হয়েছে সরকারি সব চাকরির ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে নাতি নাতনিদের কথা রাখা হয়নি।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, আপিল বিভাগের রায়ের ভিত্তিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কোটায় যোগ্য় প্রার্থী না মিললে মেধার যোগ্য প্রার্থী থেকে নিয়োগ করা হবে।
এদিকে মঙ্গলবার রাত থেকে ফের ইন্টারনেট চালু হয়েছে বাংলাদেশে। তবে সীমিত ভাবে। বিএনপির প্রচুর কর্মী সহ অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন।
আওয়ামি লীগ দাবি করেছে যে কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বিএনপি-জামায়াত, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছে।
মৃত্যুর যে খতিয়ান মিলেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ১৬ জুলাই ৬জন, ১৮ জুলাই ৪১জন, শুক্রবার ৮৪জন, শনিবার ৩৮জন, রবিবার ২১জনের মৃত্যু হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন সংসদে তিনজন পুলিশ ও একজন আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। ১ হাজার ১১৭জন পুলিশ আহত হয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে কার্যত তাণ্ডব চলেছে। মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মীরপুর ১০ নম্বর স্টেশন, রামপুরা বিটিভি ভবন, মীরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, নারায়ণগঞ্জে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সহ একাধিক সরকারি সম্পত্তিতে ভাঙচুর করা হয়েছে। মেট্রোরেলের ভাঙচুর হওয়া দুটি স্টেশন কবে চালু হবে তা নিয়ে আশঙ্কটা থেকেই গিয়েছে।