দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে গরু অত্যন্ত নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যে গো-হত্যা, বিক্রি বা অন্য জায়গায় চালান ইত্যাদি বন্ধে বিল আনা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিজেপির মুখ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সরাসরি হিন্দুপ্রধান অঞ্চলে বসবাসকারীদের গো মাংস না খেতে অনুরোধ করেছেন। এই আবহে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন বিজেপি শাসিত গোয়ার পর্যটনমন্ত্রী রোহন খাউন্তে।
আরও পড়ুন-বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি, ১৭ টন মধু! অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে গিয়ে স্তম্ভিত লোকায়ুক্ত
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে গোয়ার পর্যটনমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, 'রাজ্যে গো-মাংস নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, রন্ধন স্বাধীনতা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গোয়ার আতিথেয়তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। যদিও প্রশাসন রাজ্যকে একটি আধ্যাত্মিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরতে তৎপর হয়ে উঠেছে। তারা গোয়াকে 'দক্ষিণ কা কাশী' হিসেবে সামনে আনতে চাইছে। তবে রোহন খাউন্তে গোয়ার ঐক্য এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর জোর দিয়েছেন। তাঁর কথায়, 'গোয়ায় প্রথম বক্তৃতায় আমি বলেছিলাম যে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আয়োজক। তাই দীপাবলি, চতুর্থী, অথবা বড়দিন, আমরা একে অপরের বাড়িতে যাই, এবং আমরা একে অপরের খাবার উপভোগ করি।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা প্রতিটি সম্প্রদায়ের ভাবাবেগকে সম্মান করি, এবং এই ধরণের চিন্তাভাবনা নেই।' মন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন যে গোয়া পর্যটকদের উপর কোনও নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা আরোপ করবে না। রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি হল বিধিনিষেধের পরিবর্তে বিকল্পগুলি অফার করা।
আরও পড়ুন-বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি, ১৭ টন মধু! অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে গিয়ে স্তম্ভিত লোকায়ুক্ত
তিনি বলেন, 'আমার পক্ষ থেকে, গোয়া সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে, গোয়ার পর্যটন প্রচারকারী হিসেবে বলছি, একজন পর্যটক গোয়ায় আসলে তার কাছে বিভিন্ন খাবারে স্বাদ নেওয়ার ও খাওয়ার অপশন রয়েছে। এখানে কোনও খাবারের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। আমি চাই না কোনও মানুষকে কোনও খাবার খেতে বাধ্য করতে। তাই আপকো জো খানা হ্যায়, খাও মাজা করো (যা খুশি খাও এবং উপভোগ করো)।' পর্যটন মন্ত্রীর কথায়, 'ভালো স্মৃতি ফিরিয়ে আনুন। সেই কারণেই আমরা বলি অতিথি দেবো ভব (অতিথিই ঈশ্বর) এবং সেবা দেবো ভব (সেবাই ঈশ্বর)।' তিনি বলেন, গোয়ার অন্তর্ভুক্তিমূলক মনোভাব, রাজ্যের বৈচিত্র্যময় রন্ধনপ্রণালী দ্বারা সমৃদ্ধ। গোয়া আধ্যাত্মিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠলেও তা অক্ষুণ্ণ রয়েছে।