বহু দিন ধরেই দুই দেশের মধ্যে ভারতীয় টাকার মাধ্যমে বাণিজ্যিক বিনিময়ের কথা হলেও এবার তা বাস্তবায়িত হল। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় রুপিতে বাণিজ্য শুরু হল সম্প্রতি। ১.২৩ কোটি ভারতীয় টাকা বিক্রি হওয়া ৩০টি পিকআপ ভ্যান রফতানি হল যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে। এটি বাংলাদেশে প্রবেশ করার মাধ্যমে রুপির মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য শুরু হল।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই প্রথম ভারতীয় রুপির মাধ্যমে এই বাণিজ্য শুরু হল পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে। এটি বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রবেশ করে করেছে বলে পিটিআই সূত্রের খবর। বাংলাদেশের সঙ্গে জলপথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উত্তর চব্বিশ পরগণার পেট্রাপোল বন্দরটি ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের যশোরে অবস্থিত বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে এটি সংযুক্ত।
চলতি বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভারতীয় টাকা অর্থাৎ রুপিতে বাণিজ্য শুরুর ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই ঘোষণাই বাস্তবায়িত হল গত মঙ্গলবার। ভারতীয় টাকায় বাণিজ্যের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও রফতানি বাড়বে বলে আশা করছে দুই দেশের বাণিজ্য মহল।
এই প্রসঙ্গে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, 'বাংলাদেশে ডলারের মজুত কমেছে। এর প্রভাব পড়েছিল বাণিজ্যে। তাই দু’দেশের সরকার এক বছর ধরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়, ডলারের পাশাপাশি ভারতীয় এবং বাংলাদেশি মুদ্রাতেও লেনদেন চলবে।' কার্তিক চক্রবর্তী আশা প্রকাশ করেন, এর ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে আরও গতি পাবে।
তিনি আরও বলেন, 'ভারতীয় সংস্থা বা ব্যক্তি বাংলাদেশে পণ্য পাঠালে তা বেনাপোলে ঢোকার আগে বাংলাদেশি আমদানিকারীকে সে দেশের নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কে পণ্যের মূল্য বাংলাদেশের মুদ্রায় জমা করতে হবে। এর পরে ব্যাঙ্ক ‘এলসি’ দিলে পণ্য দেশে ঢুকবে। সেখানকার ব্যাঙ্ক ভারতীয় ব্যাঙ্কে ভারতীয় মুদ্রায় পণ্যের মূল্য পাঠাবে। সেখান থেকে রফতানিকারী সংস্থা ভারতীয় মুদ্রায় তা তুলতে পারবে।' এই প্রসঙ্গে কার্তিক চক্রবর্তী আরও বলেন, 'এখন বছরে পেট্রাপোল দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য রফতানি হয় প্রায় ২৩ হাজার কোটির টাকার। সেই পরিমাণ এ বার আরও বাড়বে বলেই আশা করছি।'