এবার আমেরিকার কয়লা, এলএনজি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ, অপরিশোধিত তেল ও অন্যান্য পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা করল চিন। সম্প্রতি চিনের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়াও মেক্সিকো এবং কানাডার ওপরেও ২৫ শতাংশ হারে কর চাপানোর ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তবে মেক্সিকো এবং কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্তে আপাতত একমাসের জন্যে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন ট্রাম্প। চিনের ক্ষেত্রেও শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে শি জিনপিংয়ের ফোনে কথা হবে বলে জানা যাচ্ছিল। এরই মাঝে মার্কিন পণ্যের ওপর পালটা কর চাপাল চিন। (আরও পড়ুন: ২ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন মোদী, সেই নিখিলের শো সময়ের আগেই শেষ করেন অতিথি, কেন?)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ২৩ সংখ্যালঘুকে খুনের অভিযোগ, 'সাম্প্রদায়িক হিংসা না',বলল ইউনুসের সরকার
এই নিয়ে চিনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্ক বৃদ্ধি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মকে লঙ্ঘন করেছে। এতে করে চিন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানানো হয় চিনের তরফ থেকে। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনের ওপর যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন তা মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে। যদিও তিনি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে মার্কি শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে এবার চিন পালটা শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিল। এর আগে চিনের বক্তব্য ছিল, 'বাণিজ্যিক যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হয় না।' এই নিয়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গনাইজেশনেও অভিযোগ জানানোর কথা বলেছিল চিন। (আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ডের 'ছোট, অন্যায্য' পরিমাণ এড়িয়ে গিয়ে বিপাকে? কী করবেন…)
আরও পড়ুন: মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে সওয়াল করে আফগানিস্তান ত্যাগ তালিবান মন্ত্রীর!
এর আগে চিনের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর মার্কেট রেগুলেশন জানিয়েছে, অ্যান্টিট্রাস্ট আইন লঙ্ঘনের সন্দেহে তারা গুগলের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। সেই ঘোষণায় সুনির্দিষ্টভাবে কোনও শুল্কের কথা উল্লেখ করা না হলেও ট্রাম্পের ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিট পরই সেই ঘোষণা করা হয়। এদিকে এই নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত বলেন, 'আমরা আশা করি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজের সমস্যাগুলি বিবেচনা করবে এবং সত্যিকার অর্থে সেগুলির সমাধান সূত্র বের করবে। তারা যেন এমন একটি সমাধান সন্ধান সূত্র বের করে যার ফলে নিজে এবং পুরো বিশ্বয উপকৃত হবে। খোলাখুলিভাবে বলতে গেলে, আমি মনে করি না যে শুল্ক বাড়ানো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে উপকারী।'