হাসপাতালের বেডে বসে মুচকি মুচকি হাসছিলেন অরুণ কুমার। গাজিয়াবাদ ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল তিনি। শনিবার জ্বলন্ত গাড়ি থেকে তিনজন আহত যাত্রীকে উদ্ধার করে এখন তিনি হিরো।
শনিবার রাতে গাজিয়াবাদে EPE ইন্টারচেঞ্জ-এ জাতীয় সড়কে ডিউটি করছিলেন বছর ২৯-এর অরুণ। রাত ৯.৪৫ নাগাদ হঠাৎই বীভৎস শব্দে চমকে ওঠেন।'দেখলাম একটা হুন্ডাই ভারনার সঙ্গে একটি মারুতি ওয়াগন আর-এর জোর সংঘর্ষ হয়েছে। ভার্নাটার কিছু না হলেও ওয়াগন আরটা উল্টে গিয়েছে। সেই সঙ্গে যেন একটু একটু ধোঁয়া বের হচ্ছে। আগুনের ফুলকিও,' বেডে বসেই বলছিলেন অরুণ।
সঙ্গে সঙ্গে সেই দিকে ছুটে যান তিনি। গিয়ে দেখেন পিছনের সিট থেকে এক বৃদ্ধা আর্তনাদ করছেন। সঙ্গে সঙ্গে দরজা টেনে খুলে উল্টানো গাড়ির ভিতর ঢোকেন অরুণ। বের করে আনেন বৃদ্ধাকে। সঙ্গে চালক ও তার পাশের আসনে বসা ব্যক্তিকেও টেনে বের করেন।
বৃদ্ধা ও দুই ব্যক্তিকে বের করে আনার সঙ্গে সঙ্গেই আরও একবার বিকট শব্দ। বিস্ফোরণ হয়ে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে গাড়িটা। বিস্ফোরণের চোটে ছিটকে পড়েন চারজন। তবে ততক্ষণে তাঁদের কিছুটা সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন অরুণ। তাই হাত-পা অল্প ঝলসে গেলেও আগুন থেকে বড়সড় আঘাত এড়ানো গিয়েছে। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে আরও পুলিশকর্মীরা ছুটে আসেন। চারজনকেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে যে ভার্না গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে এমন ঘটনা, সেই গাড়ির চালক পলাতক। প্রতক্ষ্যদর্শীদের বক্তব্য, গতিসীমার চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত চলছিল সেই গাড়িটি। চালকের খোঁজে নেমেছে পুলিশ। আপাতত সুস্থ আছেন ওই ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল। তাঁর সম্মানিত করা হবে বলে জানিয়েছেন গাজিয়াবাদ জেলা পুলিশের এসপি। তাঁকে ১০,০০০ টাকা পুরষ্কৃতও করা হবে।