অতিমারির দাপট কিছুটা কমতেই এবার ধাপে ধাপে স্বাভাবিক হচ্ছে রেল পরিষেবা। সেক্ষেত্রে নতুন সময়সূচি কী হবে, ভাড়া কী হবে এনিয়ে নানা চর্চা চলছে রেলযাত্রীদের মধ্যে। এবার এনিয়েই নয়া নির্দেশিকা দিল রেল দফতর। রেল মন্ত্রকের তরফে শুক্রবার একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে করোনাকালে যে স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছিল সেই ব্যবস্থাটা ধাপে ধাপে তুলে দেওয়া হবে। সেই জায়গায় পুরানো নিয়মে মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো হবে। অর্থ্যাৎ রেগুলার টাইম টেবিল মেনেই ট্রেন চালানো হবে। ভাড়া ও তার শ্রেণিবিভেদও আগের মতোই থাকবে। জানিয়েছে রেলমন্ত্রক।
কোনও বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া দূরপাল্লার ট্রেনের সেকেন্ড ক্লাস কামরা সংরক্ষিত হিসাবেই চালানো হবে। আগাম টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে ভাড়ার কোনও হেরফের হবে না। অর্থ্যাৎ আগে যে ভাড়ায় ট্রেন চাপা যেত সেটিই দিতে হবে যাত্রীকে। এব্যাপারে সফটওয়্যারে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করার জন্যও রেলের তরফে বলা হয়েছে। এদিকে রেল সূত্রে খবর, করোনাকালের আগে প্রায় ১৭০০ মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন চলত। ধাপে ধাপে তা কমিয়ে দেওয়া হয়। আগে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলত প্রায় সাড়ে তিন হাজার। সেই সংখ্য়াও কমে গিয়েছিল। তবে ধাপে ধাপে তা স্বাভাবিক হবে। তবে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ৭৫ শতাংশ ট্রেনের স্পেশাল তকমা উঠে গিয়েছে। বাকি ২৫ শতাংশেও পুরানো ভাড়া চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে রেল সূত্রে খবর, আগের টাইম টেবিল মেনে যেভাবে ট্রেন চলত তা পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে করোনাকালে চালু হওয়া সব স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হবে। স্পেশাল ট্রেনের জন্য যে অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ ভাড়া দিতে হচ্ছিল সেটাও আর দিতে হবে না। খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বীন বৈষ্ণো জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্তের কথা। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সব স্পেশাল ট্রেনে সফরের জন্য যাত্রীদের ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে। মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত খুব শীঘ্রই এই ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে।