পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে আওয়ামী লিগ সরকারের পতনকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা বাংলাদেশ। তারপর থেকেই দেশের অন্যান্য পরিষেবার মতো রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছিল। বিশেষ করে ট্রেন পরিষেবা গত ৫ অগস্ট থেকে বন্ধ ছিল। এই অবস্থায় নতুন অন্তবর্তী সরকার গঠন হওয়ার কয়েকদিন পরেই বাংলাদেশে পুনরায় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরু হল।
আরও পড়ুন: কেন্দ্র যে নির্দেশ দেবে সেভাবে চলব, বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বললেন মমতা
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়েছে। স্বল্পদূরত্বের প্যাসেঞ্জার এবং মেল ট্রেনগুলি আবার চালু হয়েছে। তবে ট্রেনে যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম ছিল। সোমবার থেকেই মালবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে বাংলাদেশে। আর এবার যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবাও চালু হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রী পরিবহণ করবে। ট্রেন চলাচল পুনরায় চালুর বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবির। তারপরেই এদিন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, রেলের কোনও সমস্যা না হলে রেল চলাচল শুরু করা যেতে পারে। এরপর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করে ধাপে ধাপে ট্রেন চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।ঢাকার কমলাপুরের রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মহম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, বলাকা, দেওয়ানগঞ্জ প্যাসেঞ্জার, নারায়ণগঞ্জ প্যাসেঞ্জার, মহুয়া এক্সপ্রেস, তুরাগ, কর্ণফুলী ও তিতাস প্যাসেঞ্জার এদিন সকালে কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়েছে। একইভাবে ঢাকাগামী ট্রেনও সময়মতো চালু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র বাংলাদেশে আন্দোলন ঘিরে গত ১৮ জুলাই হিংসা ছড়ায়। তার পরেই বাংলাদেশে ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছিল। ভারতও বাংলাদেশে ট্রেন পরিষেবা বাতিল করে দেয়।পরে কিছু মালবাহী এবং জ্বালানী ট্রেনের সঙ্গে লোকাল, প্যাসেঞ্জার এবং মেল ট্রেনগুলি স্বল্প দূরত্বে চলতে শুরু করে। গত ২৫ জুলাই থেকে সীমিত সংখ্যক ট্রেন পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে, সেদিন কোনও ট্রেন চলাচল করা হয়নি। ওই দিন বাংলাদেশ রেলওয়ে ভবনে এক বৈঠকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানায়। প্রায় ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর ১ অগস্ট থেকে ট্রেন পরিষেবা পুনরায় শুরু হয়। এদিকে, ৪ অগস্ট আন্দোলনকারীরা দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।