সদ্য ইনফোসিসের মাইসুরু ক্যাম্পাস থেকে ৩০০র বেশি 'ফ্রেশার্স' (নবাগত) কর্মীকে ছাঁটাই করা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। উল্লেখ্য, এই ৩০০র বেশি কর্মীকে প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সংস্থা জানায়, পর পর ৩ বারের চেষ্টার পরও তাঁরা সংস্থার ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টে পাশ করতে পারেনি। সেই ঘটনার পর সংস্থার মাইসুরু ক্যাম্পাস থেকে শতাধিকজনের ছাঁটাই হয়। এরপর সদ্য ইনফোসিস ট্রেনিদের ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট বা ‘অভ্য়ন্তরীণ মূল্যায়ন’ এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়। এমনই রিপোর্ট পেশ করেছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
রিপোর্ট অনুসারে, ইনফোসিসের তরফে বলা হয়েছে, ট্রেনিদের আরও বেশি প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দিতেই ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের পরীক্ষা এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত ইউনিয়ন ‘ন্যাসেন্ট ইনফরমেশন টেকনোলজি সেনেট’(NITES)র দাবি, এই পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে আগের ছাঁটাই কাণ্ড ঘিরে তাদের পদক্ষেপ। NITES দাবি করছে, ‘অযৌক্তিক ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে’ তাদের লড়াই ও সরকারি হস্তক্ষেপের ঘটনা এই পরীক্ষা পিছনোর নেপথ্যে রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ইনফোসিস পাল্টা দাবি করছে যে, তারা সরকার বা কোনও বহিরাগত সংগঠনের তরফে কোনও অনুরোধ পায়নি এই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া ঘিরে। ওই রিপোর্টে NITES-কে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, NITES বলেছে,' ইনফোসিস তার মাইসোর ক্যাম্পাসে ব্যাপক ছাঁটাই শুরু করার পরে, NITES বিষয়টি ভারত সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের কাছে তুলে ধরে'। এছাড়াও বলা হয়েছে,'মন্ত্রক অবিলম্বে কর্ণাটক রাজ্যের শ্রম বিভাগকে তদন্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের সুরক্ষার নির্দেশ দিয়েছে।'
( Yogi Adityanath: ‘সঙ্গমের জল পূণ্যস্নান ও আচমনের জন্য নিরাপদ’, গুণমান বিতর্কের মাঝে সরব যোগী)
জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার, ইনফোসিসের ৮০০ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। তবে সেই পরীক্ষা ১ সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে, ২০২২ সালের ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাচের ৩০০র বেশি 'ফ্রেশার' কে ছাঁটাই করা হয়। এই নবাগতদের ৩ বার সুযোগ দিয়েছিল সংস্থা, যাতে তাঁরা ইন্টারনাল অ্য়াসেসমেন্টের পরীক্ষা পাশ করে যান। তবে তাতে অকৃতকার্য হওয়াতেই এই ছাঁটাই। NITES বলছে, এই নবাগতরা ইতিমধ্যেই তাঁদের অফার লেটার পাওয়ার পর ২ বছর অপেক্ষা করেছিলেন। এরপর এই ছাঁটাইয়ের খবর আসে তাঁদের কাছে।