২৮ বছর বয়সী এক ট্রান্স অ্যাকটিভিস্টের মৃত্যু ঘিরে এখনও উঠছে প্রশ্ন। কার্যত ছয় মাস আগের এই মৃত্যুর ঘটনা আত্মহত্যা বলে জানা যায়। তবে বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে এই মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এরপরই কেরল সরকার সোমবার ঘটনা ঘিরে তদন্তের নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য , কেরলের এক বেসরকারি হাসপাতালে ওই রোগীর লিঙ্গনির্ধারণ মূলক একটি অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানা যায়। যার তদন্তের দাবি করে বিভিন্ন মহল।
বামশাসিত কেরলে পিনারাই বিজয়ন সরকার রাজ্যের যুগ্ম স্বাস্থ্য সচিবকে এই বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য, কেরলের প্রথম রেডিও জকি হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন এই ট্রান্স অ্যাক্টিভিস্ট। যাঁর মৃত্যুর কয়েকদিন পর তাঁর পুরুষসঙ্গীও আত্মহত্যা করেন। এরপরই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই দুইজনের মৃত্যু ঘিরেই তৃতীয় লিঙ্গ সম্পর্কিত একাধিক সংগঠন তদন্তের দাবি করেছে। উল্লেখ্য, ওই ট্রান্স অ্যাকটিভিস্ট কেরলের মেলাপ্পুরম থেকে নির্বাচনে অংশও নিতে যাচ্ছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে তুলে নেন মনোনয়ন। এরপর ২০২০ সালে এরনাকুলমের এক প্রাইভেট হাসপাতালে তিনি নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন মূলক একটি অস্ত্রোপচারের উদ্দেশে ভর্তি হন। সেবিষয়ে মৃত্যুর কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্টও করেছিলে তিনি , বলে জানান অ্যাক্টিভিস্টের বন্ধুরা।
ওই ট্রান্স অ্যাক্টিভিস্টের বন্ধুদের দাবি, এই অস্ত্রোপচার ঘিরে একাধিক পদক্ষেপ করতে হয় তাঁকে। যার জেরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা ও জটিলতার দিকে চলে যেতে হয় ওই অ্যাক্টিভিস্টকে। শারীরিক সমস্যার কথা হাসপাতালকে জানালেও, ওই বেসরকারি হাসপাতাল তাঁর সমস্যার সুরাহা করতে পারেনি। এরপরই নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ওই অ্যাক্টিভিস্টকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উঠে আসে আত্মহত্যার খবর। তবে তা নিয়ে আপাতত উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেরল সরকার।