আপাতত জেলবন্দিই থাকতে হচ্ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় কনভেনার অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। ফের একবার জামিনের মামলায় ধাক্কা খেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবার নিম্ন আদালতে কেজরিওয়ালের জামিনের নির্দেশে দিল্লি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করে দিয়েছে। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে আবগারী দুর্নীতি মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
নিম্ন আদালত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদনে সায় দিলেও, সেই নির্দেশে দিল্লি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে দিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টের ভ্যাকেশন বেঞ্চের বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন বলেন, আবেদন গৃহিত হলেও নির্দেশের কার্যকারিতা স্থগিত করা হল। এদিনের রায়ে নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণকে বেশ কিছুটা সমালোচনা করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। এর আগে, নিম্ন আদালতে, ইডির তরফে পেশ করা বিপুল নথিকে জামিনের যুক্তির জন্য গ্রাহ্য করা হয়নি, নিম্ন আদালতের সেই পর্যবেক্ষণের সমালোচনা করে দিল্লি হইকোর্ট। ভর্ৎসনার সুরে দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে, ‘নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণে যে বিশাল উপাদান বিবেচনা করা হয়নি, তা সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক এবং এটি দেখায় যে ট্রায়াল কোর্ট উপাদানটির প্রতি তার বুদ্ধি প্রয়োগ করেনি।’
এর আগে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গত ২০ জুন বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতে দ্বারা জামিন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দিল্লি হাইকোর্টে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিল, যা চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে জামিনের আদেশ স্থগিত করেছিল। ২০ জুন কেজরিওয়ালকে জামিন দেয় নিম্ন আদালত, সঙ্গে ১ লক্ষের ব্যক্তিগত বন্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ কপাক্ষিক বলে অভিযোগ তুলে ইডি ওই রায়ের পরদিনই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তাঁর জামিনে দিল্লি হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। দিল্লি হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট ২৬ জুন পরবর্তী শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে। ফলে দিল্লি হাইকোর্টের এই স্থগিতাদেশের নির্দেশের পর সুপ্রিম কোর্ট কোন নির্দেশ দেয়, সেদিকে তাকিয়ে দেশ।