পরিবারের দাবি ২০০২ সালে আত্মহত্যা করেছিলেন ৫৪ বছর বয়সী জগন্নাথ রায়। তাঁর বাড়ি ছিল অসমের ডিমাগুছি এলাকায়। মৃত্যুর দুদশক বাদে তাঁর নামে নোটিশ পাঠিয়ে বলা হয়েছে ভারতীয় হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করতে। আর এনিয়ে আকাশ থেকে পড়ছেন পরিবারের সদস্যরা। তার ছোট ভাই রামনাথ রায়ের দাবি ১৯৯১ সালেও এনিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তখন দাদাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। তাকে ডি ভোটার করে দেওয়া হয়। তখন অবশ্য কোনও মামলা হয়নি।
রামনাথ বলেন,আট ভাইয়ের মধ্যে জগন্নাথকেই ডি ভোটার করে দেওয়া হয়েছিল। ২০০২ সালে তার মৃত্যু হয়। সাত মেয়ে আর স্ত্রীকে আমাদের উপর ফেলে দিয়ে চলে গেল দাদা। ভেবেছিলাম ডি ভোটার তকমা হয়তো উঠে যাবে। কিন্তু সেটা আর হল না। এদিকে ফরেনার্স ট্রাইবুনাল থেকে বলা হয়েছে ২৯শে মার্চ তথ্য প্রমাণ নিয়ে জগন্নাথ রায়কে দেখা করতে। কিন্তু তিনি তো বেঁচেই নেই। কীভাবে নিজেকে ভারতীয় হিসাবে প্রমাণ করবেন তিনি?
এদিকে জগন্নাথ কিংবা তার বাবা কাশীনাথ কারোরই ডেথ সার্টিফিকেট তাদের কাছে নেই। রামনাথ বলেন, আমরা ভয় পাচ্ছি না। ১৯৬৪ সালে বাবা জমি কিনেছিলেন। আমাদের এখন ৫০ একর জমি। রাজনৈতিক প্রভাবও আছে। সরকারি লোকজনকে জিজ্ঞাসা করেছি। ওসব মামলা মিটে যাবে।