বেশকিছুদিন রোগভোগের পর রাজধানীর এক হাসপাতালে মৃৃত্যু হল কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে প্রায় সব বড় দলের সঙ্গেই কাজ করেছেন এই পিছিয়ে পড়া শ্রেণির নেতা। স্বভাবতই আজ স্মৃতিমেদুর রাজনৈতিক দলের নেতারা।
রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ বলেন যে রামবিলাসের মৃত্যুতে দেশ একজন বড় নেতাকে হারালো যিনি পিছিয়ে পড়া মানুষদের কণ্ঠ ছিলেন। তরুণ রামবিলাস যে জয়প্রকাশ নারায়ণের ছত্রছায়ায় সমাজবাদী রাজনীতির পাঠ নিয়েছিলেন সেই কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি।
নিজের শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন যে এটি অত্যন্ত ব্যক্তিগত শোক। তাঁর দুঃখ তিনি কথায় ব্যক্ত করতে পারবেন না। গরীব মানুষরা যাতে ভালো ভাবে জীবন যাপন করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করার বিষয় রামবিলাস পাসওয়ানের অবদান তিনি স্মরণ করেন। রামবিলাসের প্রয়াণে তিনি বন্ধু ও একজন ভালো সতীর্থ হারালেন বলে জানান মোদী। জরুরি অবস্থার সময় কীভাবে অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন, সেই কথাও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তিনি তুলে ধরতেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার তাঁর দীর্ঘদিনের সতীর্থের মৃত্যুতে টুইটে বলেন যে তিনি শোকস্তব্ধ।
আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন যে চিরাগের যখন সবচেয়ে দরকার, তখনই মারা গেলেন রামবিলাস পাসওয়ান। তেজস্বী বলেন যে তিনি রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলেন রামবিলাসের পাশে থেকে ২০১০ সালে যখন এলজেপি ও আরজেডি একসঙ্গে ভোট লড়েছিল।
শোক প্রকাশ করেছেন রাহুল গান্ধীও।
নিজের শোকবার্তায় উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু তাঁর সঙ্গে রামবিলাস পাসওয়ানের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা বলেন।
শোকবার্তা জানিয়েছেন মন্ত্রিসভার সদস্য অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারামন সহ অন্যান্যরা।
অমিত শাহ লেখেন-
রাজনাথের শোকবার্তাতেও ছিল পুরনো দিনের স্মৃৃতি রোমন্থন-
আজকের রাজনীতি যেখানে ক্রমশই নেতারা একে অপরের শত্রু হয়ে উঠছেন, সাপে নেউলে সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে, সেখানে সবার সঙ্গে সদ্ভাব রেখে চলার নিদর্শন ছিলেন রামবিলাস পাসওয়ান। প্রায় পাঁচ দশক ধরে রাজনীতির প্রেক্ষাপটে সেই জন্যেই নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে রাখতে পেরেছিলেন তিনি। তাঁর স্মরণবার্তায় সেই কথাই বারবার প্রতিফলিত হল