ত্রিপুরায় ফের একবার হামলা চালানো হল তৃণমূলের উপর। অভিযোগের ঈআঙুল উঠল সেই বিজেপির দিকে। গতকাল আগরতলা থেকে বেশ খানিকটা দূরে অবস্থিত অমরপুরে সভা ছিল তৃণমূলের। সভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল কুণাল ঘোষেরও। তবে সভায় নাকি তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা দেখেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
এদিকে সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথেই পুলিশ নাকি কুণাল ঘোষের গাড়ি আটকায়। অভিযোগ, অমরপুর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে আটকানো হয় কুণালকে। সেই এলাকার এসডিপিও কুণাল ঘোষ, সুবল ভৌমিকদের সভা স্থলে যেতে বাধা দেন। বাধা পেয়ে নাকি এসডিপিও-র সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন কুণাল ঘোষ।
হামলা প্রসঙ্গে একটি টুইট করে কুণাল ঘোষ লেখেন, 'আবার হামলা ত্রিপুরায়। আগরতলা থেকে দূরে পাহাড়ি সবুজ এলাকা অমরপুরের নতুনবাজারে তৃণমূলের সভায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। আর এতদূর যাওয়ার পরেও সভাস্থলের মুখে আমাদের আটকে দিয়েছে পুলিশ। আগাম জানানো সভাতেও যেতে দেওয়া হবে না। অফিসারকে বললাম, কেন যেতে দেবেন না? উত্তর, নির্দেশ।'
এদিকে এই হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য পালটা বাংলায় বিজেপির উপর হিংসার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি অভিযোগ করেন, দিনহাটায় বিজেপিকে প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। দলের নেতাকে হোটেলে ঘর ভাড়া দেওয়া হচ্ছে না ভাঙচুড়ের ভয়ে। পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মী খুনের কথাও মনে করিয়ে দেন শমীক ভট্টাচার্য। শেষে তাঁর বক্তব্য, 'ওখানে (ত্রিপুরায়) ঠিক কী হয়েছে তা আমরা এখান থেকে বলতে পারছি না।'