পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতির দায়ে পরপর হেভিওয়েট নেতাদের নাম জড়ানোর জেরে অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার জাতীয় ক্ষেত্রে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বর্তমানে উত্তর-পূর্বে নিজেদের পায়ের তলার জমি শক্ত করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। এই আবহে বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। তবে সেই ত্রিপুরাতেই মমতাকে বড় ধাক্কা দিয়ে দলত্যাগ করার ঘোষণা করলেন রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি আবদুল বাসিত খান।
আবদুল বাসিত খানের অভিযোগ, ‘তৃণমূল দুর্নীতিতে জর্জরিত’। এই কারণ দেখিয়েই তিনি দল ছাড়ার ঘোষণা করেন। পেশায় আইনজীবী বাসিত ২০১৪ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠান বাসিত। তাতে এক লাইনে তিনি লিখেছেন, আমি অবিলম্বে দলের রাজ্য সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছি। তাঁর অভিযোগ, এই মুহূর্তে রাজ্য তৃণমূলে নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। এই দলে থেকে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয়। এই আবহে বাসিত অন্য দলে যোগ দিতে পারেন মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিককে অপসারণ করা হয়েছিল। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বিজেপি ঘনিষ্ঠতার কারণেই তাঁকে সরানো হয়েছিল পদ থেকে। মনে করা হচ্ছে, শীঘ্রই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন সুবল। এরই মাঝে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দল ছাড়লেন রাজ্যের সহ-সভাপতি। এতে স্বভাবতই চরম অস্বস্তিতে দল। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পরই ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছিল তৃণমূল। তবে পুরভোটে সেখানে সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি দল। যদিও ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সেখানে সুস্মিতা দেব, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতাদের নিয়োগ করে রেখেছে দল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বহুবার ত্রিপুরা গিয়েছেন। তবে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের বেহাল দশা দেখা দিয়েছে।