কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আসা সুস্মিতা দেবকে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। জহর সরকারের পর সুস্মিতা দেবই নয়া চমক। শিলচরের মেয়ের উপর ভরসা রেখে কংগ্রেস–বিজেপি দু’পক্ষকেই বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেস গুরুত্বপূর্ণ পদ দিলেও সুস্মিতাকে সর্বভারতীয় স্তরে সেভাবে কাজে লাগাতে পারেনি। আর রাজ্যসভায় মহিলা মুখ দিয়ে বিজেপিকেও পাল্টা বার্তা দেওয়া হয়েছে।
আজ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, সুস্মিতা দেবকে সংসদের উচ্চকক্ষে মনোনীত করতে পেরে দল গর্বিত বলে মনে করছে। দলীয় সূত্রে খবর, এখন সুস্মিতাকে ত্রিপুরার সংগঠনে কাজে লাগানো হয়েছে। সেখানে সুস্মিতা ম্যাজিক দেখালেও তাঁকে উত্তর–পূর্ব রাজ্যে পড়ে থাকতে হচ্ছে। আর ওই রাজ্যে বিপ্লব দেব সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনছে। তাই রাজ্যসভার সদস্য হয়ে গেলে সুস্মিতা সেখানে আরও নিরাপদে সংগঠনকে মজবুত ভিতের উপর দাঁড় করাতে পারবেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুইট করে লেখা হয়েছে, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য হল রাজনীতিতে আরও বেশি করে মহিলাদের ক্ষমতায়ন করা। তাতেই সমাজের ভালো হবে এবং অনেক বেশি কিছু করা যাবে।’ এই খবর পেয়ে খুশি সন্তোষমোহন দেবের মেয়ে সুস্মিতাও। মানস ভুঁইয়া বিধায়ক হওয়ায় রাজ্যসবার পদটি খালি হয়। সেখানের নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আর সেখানে সুস্মিতা দেবকে তুরুপের তাস করল তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করা হচ্ছে।