'আসল কংগ্রেস' খোঁচার পর গোয়ায় আত্মপ্রকাশ তৃণমূলের। হাত শিবিরে ভাঙনের ইঙ্গিতও দিল তৃণমূল। নিজেদের 'আসল কংগ্রেস' দাবি করে জাগো বাংলায় বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। কংগ্রেসকে এহেন আক্রমণ করে সারা দেশে বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটাতে চাইছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে গোয়ায় আত্মপ্রকাশ করল তৃণমূল। এবম পশ্চিম ভারতের এই রাজ্যে ঘাসফুল ফোটানোর পরিকল্পনা করতে গিয়ে আক্রমণ শানানো হল কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডকে। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে দল ভাঙানোর ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন।
রাজ্যসভায় তৃণমূলের সদস্য ডেরেক ও'ব্রায়েন স্পষ্ট করে দেন যে সংগঠন বাড়াতে অন্য দল থেকে উপযুক্ত নেতাদের দলে নেবেন তাঁরা। এতেই মনে করা হচ্ছে যে সেই রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠনে ফাটল ধরানোর ছক কষছে তৃণমূল। পাশাপাশি সরাসরি রাহুল-সোনিয়া গান্ধীদের খোঁচা মেরে ডেরেকের মন্তব্য, তৃণমূলে কোনও 'হাইকমান্ড' সংস্কৃতি নেই।
এদিকে সাংগঠিক শক্তি বাড়ান ও দলের বিস্তার ঘটানো প্রসঙ্গে গোয়া তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এক টুইট বার্তায় লেখা হয়, 'মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মানুষের উন্নয়নের উদ্দ্যেশ্য নিয়ে যাঁরা কাজ করতে চান, সেরকম নেতাদের দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল কোনও আপোষ করবে না। নেতাদের বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র মানদণ্ড হবে বিশ্বাসযোগ্যতা। গোয়ার বিশ্বাসযোগ্য নেতাদের আমরা দলে নেব৷ তাঁরাই তৃণমূলকে গোয়ায় এগিয়ে নিয়ে যাবেন।'
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে দিল্লির মসনদ দখল লড়াইয়ের পরিকল্পনা তৃণমূলের। সেই মতো বিভিন্ন রাজ্যে ঘাসফুলের বীজ বপণ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ত্রিপুরা-অশমে ইতিমধ্যেই তত্পরতা বেড়েছএ তৃণমূলের। সেখানে পায়ের তলায় জমি শক্ত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল। নয়া মুখ আমদানি থেকে শুরু করে তৃণমূল শীর্ষ নেতাদের মুহূর্মুহূ সফর, কিছুই বাদ যায়নি। এবার উত্তর-পূর্ব ছাড়িয়ে পা বাড়িয়েছে তৃণমূল। এবং দলের মূল লক্ষ্য, কংগ্রেসের জায়গা দখল করে বিজেপি বিরোধী সর্ববৃহত দল হিসেবে স্থান তৈরি করা।