লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই জোর ধাক্কা ত্রিপুরা তৃণমূলে। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দল ছাড়লেন প্রবীণ আইনজীবী ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস। তিনি চিঠি দিয়ে সভাপতি পদ ছাড়ার সঙ্গে দল ছাড়ার কথাও ঘোষণা করেছেন।
চিঠিতে প্রবীণ আইনজীবী জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগত কারণে দল ছাড়ছেন। দলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছেন,'আমার ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য গত কয়েকমাস ধরে দলের কাজে সময় দিতে পারছিলাম না। কিছু না করে দলের পদ আকড়ে বসে থাকা অর্থহীন। তাই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' তাঁকে দলের সভাপতি করার জন্য সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
গত ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে পীযূষকান্তি বিশ্বাসকে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি করা হয়। কিন্তু তাঁর নেতৃত্বে ত্রিপুরায় তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও সাফল্য আসেনি।একটি আসনে জয় পায়নি তৃণমূল। সব প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
ভোটের পর দু-একবার ত্রিপুরা যান দলের পর্যবেক্ষক সুস্মিতা দেব। কিন্তু তাঁর সঙ্গে দেখা যায়নি পীযূষ বিশ্বাসকে। তিনি পার্টি অফিস যাওয়া কার্যত ছেড়ে গিয়েছিলেন। এবার পদত্যাগের চিঠি পাঠালেন।
কিছুদিন আগে ত্রিপুরা তৃণমূলের পুরনো নেতা আশিসলাল সিংও পদত্যাগ করেন। এবার দল ছাড়লেন পীযূষকান্তি বিশ্বাসও।
পেশায় আইনজীবী পীযূষকান্তি দীর্ঘদিন ধরে ত্রিপুরার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এর আগে কিছুদিন তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতিও ছিলেন। সুদীপ রায়বর্মণ কংগ্রেসে ফেরার খবর প্রকাশ্যে আসতেই তিনি দল ছাড়েন। তৃণমূলে যোগ দিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি হন। তাঁর পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ কী তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'এখনও কিছু সিদ্ধান্ত নেননি। বলার মতো সময় এলে তিনি জানিয়ে দেবেন।' তবে সূত্রের বিজেপি ও কংগ্রেস দু'দলেরই প্রস্তাব রয়েছে তাঁর কাছে।