রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খার্গের ডাকে আজ সকালে বিজেপি বিরোধী দলগুলি একটি বৈঠক করে সংসদে। তবে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সাংসদ। এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খার্গেকে প্রশ্ন করা হলে গতরাতে তিনি জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের নিজেদের বৈঠক আছে, তাই তারা আসতে পারবে না। তবে কোনও অজুহাত না দিয়ে বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কারণ সরাসরি বলেই দেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
গতকাল সন্ধ্যায় ডেরেক ও’ব্রাযেন এক টুইট বার্তায় লেখেন, তৃণমূল কগ্রেসের জোটসঙ্গী নয, তাই কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে অন্য দলের সঙ্গে পার্থক্য থাকবে তৃণমূলের ক্ষেত্রে। ডেরেক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘একটা বিষয় নজর রাখতে হবে যে আরজেডি, ডিএমকে, সিপিআই এবং সিপিএম, এরা সকলেই কংগ্রেসের জোটসঙ্গী। এনসিপি-শিবসেনা এবং ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে সরকার চালায়। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের জোটসঙ্গীও নয়, আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে সরকারও চালাই না। এটাই হল এই দলগুলির সঙ্গে আমাদের পার্থক্য।’
সম্প্রতি বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর দুই দলের সম্পর্ক ধাক্কা খায়৷ এরপরই তৃণমূলের গরহাজিরা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ তবে বিষয়টিকে হালকা করে কংগ্রেস দাবি করেছে, নিজেদের বৈঠক থাকার কারণেই বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দিতে পারছে না তৃণমূল কংগ্রেস৷ এই আবহে ডেরেক জানিযে দেন, কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে ইস্যুভিত্তিক সমন্বয় থাকবে তৃণমূলের৷ একই ইস্যু নিয়ে যখন কথা হবে, তখন সংসদের অন্দরে বিরোধী ঐক্য থাকবে। তবে রাজনৈতিক সমীকরণের ক্ষেত্রে যে তৃণমূল অন্য ছক কষছে, তা পরিষ্কার করে দিলেন ডেরেক৷