Triple Death in Railway Station: ভিড় রেলস্টেশনে বাবা-মেয়েকে গুলি করে খুন, আত্মঘাতী যুবক, হতবাক হয়ে দেখলেন যাত্রীরা

আরা জংশন রেলস্টেশনে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন। নিহতদের মধ্যে এক তরুণী ও এক যুবক এবং এক প্রৌঢ় রয়েছেন। প্রেমিক প্রথমে তার বান্ধবী ও তার বাবাকে হত্যা করে, পরে নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করে বলে জানা গিয়েছে।

বিহারের আরা জংশন রেল স্টেশনে জোড়া খুন ও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল ২৫ মার্চ সন্ধ্যায়। জানা গিয়েছে, খুন হওয়া ব্যক্তি ও তরুণী ছিলেন বাবা ও মেয়ে। এদিকে খুন করে আত্মঘাতী হওয়া যুবক ছিল মৃত তরুণীর প্রেমিক। প্রেমিক প্রথমে তার বান্ধবী এবং পরে তার বাবাকে গুলি করে হত্যা করে। এর কিছুক্ষণ পর প্রেমিক নিজে নিজেকে গুলি করে। এই ঘটনায় আরা স্টেশনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। (

জানা গিয়েছে, ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় আরা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে ফুট ওভারব্রিজে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় জমে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখান থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে। এরপর তিনজনের দেহ হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। (

ঘটনা প্রসঙ্গে এএসপি আরা পরিচয় কুমার জানিয়েছেন, মৃত মেয়েটির বয়স ১৬-১৭ বছরের মধ্যে। একই সঙ্গে গুলিবিদ্ধ যুবকের বয়স আনুমানিক ২২-২৪ বছর। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মেয়েটি দিল্লি যাচ্ছিল। নিহতদের সকলেই আরার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এএসপি জানিয়েছেন, জিআরপি এবং আরপিএফের দলও তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ হলেই হত্যাকাণ্ডের কারণ ও অন্যান্য দিক স্পষ্ট হবে। পুলিশ আধিকারিক বলেন, 'আরা রেলওয়ে স্টেশনের ৩ ও ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ওভারব্রিজে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, ২৩-২৪ বছর বয়সি একজন যুবক, ১৬-১৭ বছর বয়সি একটি মেয়ে এবং তার বাবাকে গুলি করে। পরে সে নিজেকে গুলি করে... যথাযথ ভাবে তদন্ত করা হবে।'

যদিও গুলি চালানোর পিছনে সঠিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি, সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পুলিশ বলেছে যে হত্যার পিছনে প্রেমের ইস্যু থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে আরপিএফ (রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স) সিনিয়র কমান্ড্যান্ট প্রকাশ পান্ডাও বলেন, 'প্রাথমিক তথ্য অনুসারে এটির নেপথ্যে প্রেমজনিত কারণ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। অভিযুক্ত অমন কুমার, ২৪ বছর বয়সি, ভোজপুরের বাসিন্দা। মৃত জিয়া কুমারী এবং তার বাবা অনিল সিনহাকে গুলি করে হত্যা করে অমন। পরে সে নিজেকে গুলি করে। আমরা তদন্ত করছি... রেলস্টেশনে প্রায় ৪০টি ক্যামেরা থাকলেও ফুট ওভার ব্রিজে কিছু ক্যামেরা বসানো ছিল না... হত্যার অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।'