প্রিয়াঙ্কা দেববর্মন
সামনেই ২০২৩ এর ত্রিপুরা নির্বাচন। তার আগে ত্রিপুরায় বিজেপি পরিচালিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াইতে নামছে বিরোধী বাম ও কংগ্রেস জোট। ইতিমধ্যেই এনিয়ে তারা সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছে। বিজেপি সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার জন্য তারা মানুষের কাছে আবেদন করেছেন।
তাদের অভিযোগ ত্রিপুরার বিজেপি সরকার অরাজকতা চালাচ্ছে গোটা রাজ্য় জুড়ে। তাদের বিরুদ্ধে এবার মানুষকে জোটবদ্ধ হওয়ার আহ্বান। বিরোধীদের অভিযোগ, নাগরিকদের অধিকারও বিঘ্নিত হচ্ছে। সংবাদ মাধ্য়মের স্বাধীনতাও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। বিরোধীদের কণ্ঠস্বরকে নানাভাবে রোধ করা হচ্ছে। বাম ও কংগ্রেস এনিয়ে যৌথভাবে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি রাজ্য তথা দেশ জুড়ে বিজেপির অপশাসন চলছে। এবার সেই অপশাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।
বিবৃতির শেষে উভয় পক্ষ থেকেই স্বাক্ষর করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে বিজেপির অপশাসনের এই কালো দিন থেকে মুক্ত করতে হবে দেশকে। সেজন্য জোরালো আওয়াজ তুলতে হবে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী, সিপিআই রাজ্য সম্পাদক যুধিষ্ঠির দাস, ফরওয়ার্ড ব্লকের চেয়ারম্যান পরেশ সরকার, আরএসপির সম্পাদক দীপক দেব, সিপিআই রাজ্য সম্পাদক পার্থ কর্মকার, রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি বিরাজিৎ সিনহা এই যৌথ বিবৃতিতে সই করেছেন।
এদিকে আগেই ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে ইস্যুভিত্তিক জোটবদ্ধ করার ব্য়াপারে আলোচনা হয়েছে। বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে দুপক্ষের মধ্যে কোনও জোটের কথা এখনও উল্লেখ করা হয়নি। বিরোধীরা তাঁদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশ সরকারকে অসাংবিধানিক কাজ করতে সহায়তা করছে। এক্ষেত্রে তারা লুঠপাট, তোলাবাজি, খুন, ধর্ষণ সহ নানা ধরনের অপরাধের নজির হাজির করেছে। শাসকদলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ তাঁদের। অন্যদিকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে একপেশে মনোভাব দেখাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। আইনের শাসনের জায়গায় জঙ্গলরাজ চলছে। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
জিতেন্দ্র চৌধুরী জানিয়েছেন, আমরা সমস্ত মানুষকে বলছি বিজেপির এই কালো দিনের বিরুদ্ধে আপানারা জোরালো আওয়াজ তুলুন। তবে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী জোট নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
কংগ্রেসের সভাপতি বিরাজিৎ সিনহা বলেন, বিজেপির অপশাসনের বিরুদ্ধে সমস্ত মানুষকে জোটবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। এটা কোনওভাবে রাজনৈতিক কোনও বোঝাপড়া নয়। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেসের প্রতি মানুষের আস্থা আছে। সেক্ষেত্রে সিপিএমের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া নিয়ে কোনও কথা হয়নি।
বিজেপির মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সিপিএম ও কংগ্রেসের নেতৃত্ব তাঁদের মধ্য়ে যে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হত সেটা ভুলে গিয়েছেন। বিজেপির সুশাসন নিয়ে তাঁরা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।