ত্রিপুরার পানিসাগর এলাকায় মসজিদে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। একাধিক দোকান ও বাড়িতেও তাণ্ডব চালানো হয়। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দুটি অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে। এই ঘটনা যাতে আগামীতে না হয় সেব্য়াপারেও সতর্ক করা হয়েছে। তবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেফতারির কোনও খবর মেলেনি।
জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী বলেন, আমরা এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করেছি। তবে অপ্রীতিকর আর কোনও ঘটনার খবর নেই। পানিসাগর, ধর্মনগরে মহকুমায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এদিকে উত্তর ত্রিপুরার বিভিন্ন সংবেদনশীল এলাকায় ইতিমধ্যেই শান্তি বৈঠক করছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা?
স্থানীয় সূত্রে খবর, সেদিন বাংলাদেশের অশান্তির ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি মিছিল বের হয়েছিল। এরপর সেখান থেকে কয়েকজন বেরিয়ে মসজিদে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তিনটি বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর করা হয়। দুটি দোকান আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে ত্রিপুরা-অসম সীমান্তের চুড়াইবাড়ি এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনও বেরিয়ে পড়েছিলেন। ধর্মনগরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, পানিসাগরের ঘটনার পর আতঙ্কে, বিভ্রান্ত হয়ে ওরা বেরিয়ে পড়েছিলেন। পরে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, পানিসাগরে যে ঘটনা হয়েছে তা নিন্দাযোগ্য। সম্প্রীতি বজায় রাখতেই হবে। বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের রাজ্যে সংখ্য়ালঘুদের সংখ্যা খুব কম।তাদের পক্ষে সাম্প্রদায়িক অশান্তি করা সম্ভব নয়। সিপিএম মনে হয় অশান্তির পেছনে রয়েছে।