আগামিদিনে ত্রিপুরা দিল্লি পরিচালনা করবে, দিল্লি করবে না। রবিবার ত্রিপুরার মাটিতে দাঁড়িয়ে এই কথাই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি জানান, বাংলায় যে সব উন্নয়নমূলক প্রকল্প শুরু হয়েছে, ২০২৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর সেই সব উন্নয়নমূলক প্রকল্প ত্রিপুরাতেও শুরু হবে।
এদিনের জনসভায় দাঁড়িয়ে অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনার বাড়ি সামনে রাস্তা হবে নাকি নিকাশি হবে, কী উন্নয়ন হবে, সেটা দিল্লি রিমোর্ট কন্ট্রোল দিয়ে ঠিক করবে? নাকি এটা ত্রিপুরার ভূমিপুত্র ঠিক করবেন? আর এই রিমোর্ট কন্ট্রোলের ব্যাটারি হিসাবে এখানে বসে আছে, বিপ্লব দেব। ইয়েস স্যার। নো স্যার, জি হুজুর। এই সব চলবে না। ত্রিপুরা আগামিদিন দিল্লি পরিচালনা করবে। দিল্লি ত্রিপুরা পরিচালনা করবে না। আমরা বাংলাতেও এই একই কথা বলেছিলাম। ল্যাজে গোবরে করে ফেরত পাঠিয়েছি। যত দিল্লির নেতাদের ডেকে নাও। এক্সপেয়ারি ডেট ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। আজ খুঁটিপুজো করে গেলাম। আর তেইশে বিসর্জনটা হবে।’ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে নিশানা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আপনার যত জেদ তার ১০ গুণ জেদ আমার। আপনার জেদ, গায়ের জোরে ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ সরকার কায়েম করে দুয়ারে গুণ্ডারাজ চালাব আর দিল্লির তল্পিবাহকতা করব। আর আমার জেদ কী। ত্রিপুরার মানুষের স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে দিয়ে ত্রিপুরায় দুয়ারে সরকারের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। কে জিতবে আর কে হারবে, সেটা মানুষ ঠিক করবেন।’
এদিন বাংলার সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরে অভিষেক জানান, ‘বাংলায় যদি কন্যাশ্রী হয়, তাহলে ত্রিপুরায় হবে না কেন? বাংলায় যদি বিনামূল্যে রেশন হয়, তাহলে ত্রিপুরায় হবে না কেন? বাংলায় যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হয়, তাহলে ত্রিপুরায় হবে না কেন? আমি আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি, ত্রিপুরায় তৃণমূল ক্ষমতায় এসে তিন মাসের মধ্যে এই সব প্রকল্প ত্রিপুরায় চালু হবে। ত্রিপুরায় দুয়ারে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আগে ছিল সিপিএমের হার্মাদ, এখন বসে আছে বিজেপির উন্মাদ। বিজেপি, সিপিএমের রাস্তায় তৃণমূল হাঁটবে না। ত্রিপুরায় আসল পরিবর্তন আসবে।’