পুরভোটের আগে ক্রমেই উত্তাপ বাড়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের বাঙালি অধ্যুষিত ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরায়। লাগাতার সংঘর্ষের ঘটনায় একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি ও তৃণমূল। এরই মাঝে যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল 'খুনের চেষ্টা'র অভিযোগে। এই আবহেই সেই রাজ্যে গিয়ে পৌঁছান ঘাসফুল শিবিরের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগরতলায় পা রেখেই অভিষেক তোপ দেগেছিলেন বিপ্লব দেবকে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বিপ্লবের নিশানায় পশ্চিবঙ্গ থেকে ত্রিপুরায় যাওয়া তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক কালে কয়লা, বালি সহ একাধিক পাচার কাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রসঙ্গে খোঁচা মেরেই বিপ্লব দেবের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা বিভিন্ন কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা ত্রিপুরায় এসে এই রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিপ্লব দেবের আরও দাবি, ভিনরাজ্যের নেতাদের এহেন অশান্তি তৈরির চেষ্টার বিরুদ্ধে ভোট দেবেন ত্রিপুরার জনগণ।
উল্লেখ্য, এর আগে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভিনরাজ্য থেকে বিজেপি নেতারা এসে প্রচার করেছিলেন রাজ্যে। সেই সময় তৃণমূলের তরফে সেই বিজেপি নেতাদের 'বহিরাগত' তকমা দেওয়া হয়েছিল। কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের মতো নেতাদের বঙ্গ সফরকে 'বর্গী হানা' বলে অভিহিত করেছিলেন মমতা থেকে অভিষেক। সেই সময় বাংলায় এসে বিজেপির জন্য প্রচার করেছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবও।
এবার বঙ্গে তৃণমূলের সেই 'আতিথেয়তা' ফিরিয়ে দিয়ে আগরতলা পুরভোটের প্রচারে বিপ্লব দেব বলেন, 'অন্য রাজ্য থেকে বালি মাফিয়া, কয়লা মাফিয়া, গরু পাচারকারী, সারদা ও নারদ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানো লোকজন এখানে এসে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। শান্ত ত্রিপুরাকে অশান্ত করে তুলছে। পুরভোটের ফলেই মানুষ এর জবাব দিয়ে দেবেন।'